স্পোর্টস রিপোর্টার:
২০২২ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যান মুশফিকুর রহীম। প্রায় দেড় বছর পর সে বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন টাইগার ক্রিকেটার। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবসর নিয়েছিলেন বলে ইঙ্গিত দিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
২০২২ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে সুবিধা করতে পারেননি মুশফিকুর রহীম। এরপর সে বছরের ৪ঠা সেপ্টেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানান মিস্টার ডিপেন্ডেবল। সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, বাংলাদেশের হয়ে অন্য দুই সংস্করণ টেস্ট ও ওয়ানডেতে মনোযোগ দিতেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছেন।
সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে অবসরের পর দুটি বিপিএলে দাপুটে পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন মুশফিক। গতবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১৫ ইনিংসে ৩৯ গড় এবং ১৩২ স্ট্রাইক রেটে ৩৫৭ রান করেন মুশফিক। এবার এখন পর্যন্ত ১৪ ইনিংসে ৩৩ গড় এবং ১২৩ স্ট্রাইক রেটে মুশফিকের সংগ্রহ ৩৬৭। দু’বারই তার দল বিপিএলের ফাইনালিস্ট। ছন্দে থাকা মুশফিককে কি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত পোড়ায়? বুধবার বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর ফরচুন বরিশাল ব্যাটার মুশফিক রহস্য করে বলেন, ‘অবসর নিয়েছিলাম কি ভাই?’ কিছুক্ষণ মাথা ঝাঁকিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, অবসর নিয়েছিলাম তো।’ এরপর মুশফিক বলেন, ‘না! না! (অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে) আক্ষেপ নেই কোনো। আক্ষেপের কী আছে?’ (হাসি) বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিকুর রহীম।
১২৫ ম্যাচ খেলে ৩৬.৯২ গড় এবং ১৩২.১৮ স্ট্রাইক রেটে ৩ হাজার ২৪৯ রান সংগ্রহ করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
শীর্ষে থাকা তামিম ইকবালের রান ৩ হাজার ৩৮৩। দুই হাজারের বেশি বিপিএল রান ও ১৩০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে মুশফিকের (১৩২) আগে শুধু একজনই, সাকিব আল হাসান। ১৩৯ স্ট্রাইক রেটে সাকিবের সংগ্রহ ২ হাজার ৩৯৭ রান। দুর্দান্ত ফর্ম এবং সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের মালিক মুশফিককে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই টি-টোয়েন্টি দলে পেতে চাইবে? জবাবে মুশফিক বলেন, ‘এটা তো এখন ভালো খেলার পর বলছেন। আগে তো কেউ এটা বলেননি।’
এরপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করে মুশফিক বলেন, ‘আমি শুধু একটা প্রশ্ন করি, আমি কি টি-টোয়েন্টি থেকে নিজের ইচ্ছায় অবসর নিয়েছি? এতটুকু শুধু বলার আছে। যখন অবসর নিয়েছিলাম, তার আগের এক মাস একটু দেখে নিয়েন। আর কিছু বলার নেই।’
এমআই