নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২২২ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এদের মধ্যে ১০৬ জন নারী ও ১১৬ জন কন্যা শিশু রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২২২ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২২ জন কন্যা শিশুসহ ৩০ জন। যার মধ্যে তিন কন্যা শিশুসহ ১১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে ৫ কন্যা শিশু।
নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, উল্লিখিত সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১১ কন্যা শিশু ও ৫ জন নারী। পাশাপাশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন ৪ কন্যা শিশু। পাচারের শিকার হয়েছেন ৩ জন কন্যা শিশু। এসিডে দগ্ধ হয়েছেন ২ জন নারী। তবে এ সময়ে কারোর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ সময় অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন দুইজন নারী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিন নারী। আর যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে একজনকে। সাতজন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে দুই কন্যা শিশু রয়েছে। এক গৃহকর্মী নির্যাতিত হয়েছেন এবং একজন কন্যা শিশুসহ দুইজন হত্যার শিকার হয়েছেন।
মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে বিভিন্ন কারণে ১২ জন কন্যা শিশুসহ ৪৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে একজন কন্যা শিশুসহ তিনজন। চারজন কন্যা শিশুসহ ১৪ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর পাঁচজন কন্যা শিশুসহ ১৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। যারমধ্যে দুইজন নারী আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। সাতজন কন্যা শিশু ও নারীকে অপহরণ করা হয়েছে। ২১ জনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু ফেব্রুয়ারি মাসে চারজন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে সাতটি। এছাড়াও ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে সাতজন নারী ও পাঁচজন কন্যা শিশু।
এমআই