নিজস্ব প্রতিবেদক:
জিগাতলার সাতমসজিদ সড়কের পাশের কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজাটি ১৫ তলা। এই ভবনে রয়েছে ১১টি রেস্তোরাঁ। ভবনের দুটো সিঁড়ির একটি বন্ধ, সেখানে রাখা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। আর ভবনের ছাদে তালা লাগানো। ভবনে আগুন লাগলে কারও পক্ষে ছাদে যাওয়া সম্ভব নয়। এমন অবস্থায় অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ভবনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম আজ সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভবনটিতে এই অবস্থা দেখতে পেয়েছেন। পরে অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছেন তিনি।
ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এটি ১৫ তলা ভবন। ১২ তলা পর্যন্ত প্রায় সব তলাতেই রেস্তোরাঁ আছে। এ ছাড়া দুটো ভবনে ভিসা প্রসেসিং অফিস আছে। তিনি বলেন, ‘ভবনের দুটো সিঁড়ি; তার একটি বন্ধ, ব্যবহার উপযোগী না। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার রাখা। ছাদও বন্ধ, দুর্ঘটনা ঘটলে কেউ সেখানে যেতে পারবে না।’
ভবনটি সিলগালা করা ছাড়াও সেখানে থাকা ভিসা প্রসেসিং অফিস থেকে ৩ জন কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, তাঁরা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তাই তাঁদের আটক ও জরিমানা করা হয়েছে। ভবনের রেস্তোরাঁগুলোয় কোনো মালিক বা কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের একটি সাততলা ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনের প্রতিটি তলায় রেস্তোরাঁ ছিল। এ ঘটনার পর ঢাকার বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবনে ইচ্ছেমতো রেস্তোরাঁ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ জানান বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন মহল থেকে এসব ভবনে অভিযান চালিয়ে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়।
এই পরিস্থিতি গতকাল রোববার রাজধানী গুলশান, মিরপুর ও উত্তরার প্রায় অর্ধশত রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করে পুলিশ। তারপর আজ ধানমন্ডি, ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় রেস্তোরাঁ ভবনে একযোগে অভিযান চালাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ।
বিকেল ৪টার দিকে জিগাতলার কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজার সামনে গিয়ে দেখা যায়, ঢোকার মুখেই একটি কাগজ ঝোলানো, তাতে লেখা, ‘সব রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে’।
এর আগে কিছুটা দূরে সাতমসজিদ সড়কের গাউসিয়া টুইন পিক ভবনে অভিযান চালায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সেখানে একটি রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলা হয় এবং ওই ভবনের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এমআই