নিজস্ব প্রতিবেদক:
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের টানা ৬ বছরের জন্য তাকে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রেফারেন্স খারিজ করে এ রায় দেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি।
রাষ্ট্রের এই দুই আইন কর্মকর্তা বলেন, সরকারের রাজস্ব বিভাগ ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান থেকে ৫৫৫ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৬২৪ টাকা কর দাবি করে। এই টাকার মধ্যে ৪৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৪ টাকা পরিশোধ করেছে। এখন পরিশোধ করতে হবে ১১৯ কোটি টাকা।
তাহমিনা কলি বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সালের কর পরিশোধের সব নথি যথাযথভাবে প্রমাণ করতে পারেননি গ্রামীণ কল্যাণ। নথি পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে প্রমাণিত হয়েছে গ্রামীণ কল্যাণ আরও ১১৯ কোটি টাকার কর বাকী আছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ কল্যাণের অভ্যন্তরীণ অডিটের মতে সব কর পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু রাজস্ব বিভাগে সেটি প্রমাণিত হয় ১১৯ কোটি টাকা কর বাকী আছে, তা পরিশোধ করতে হবে। গ্রামীণ কল্যাণ এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রেফারেন্স করে। সেই রেফারেন্স খারিজ করে রায় দেন আদালত।
কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দিয়েছিল। বিবৃতিতে তারা কর বকেয়ার বিষয় স্পষ্ট করে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছিল। ইউনূস সেন্টার বলছে, প্রফেসর ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের অর্জিত টাকা।
বিবৃতিতে বলা হয়, তার (ড. ইউনূস) উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রিলব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ, সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।
এতে আরও বলা হয়েছে, তিনি জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি বা শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ২টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করেছেন।
এমআই