যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২৪ পালন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন ও '৭ই মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য' শীর্ষক আলোচনা সভার মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ৯.৩৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে শ্রদ্বা নিবেদন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্যালারীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৭ মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল এর সঞ্চালনায় ও সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ।
আলোচনা সভায় ৭ই মার্চ ও বঙ্গবন্ধুর উপর আলোকপাত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, পাকিস্তানের শোষণ নির্যাতনের হাত থেকে বাঙ্গালীকে বাচানোর জন্য বঙ্গবন্ধু ২৩ বছর বাঙ্গালী কে তৈরি করেছে। ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক সবাইকে তৈরি করার পর যখন সময় এসেছে তখন ৭ই মার্চের ভাষণে সকল বাঙালি কে একত্রিত করে যে আহবান তিনি জানিয়েছিলেন তারপর থেকেই স্বাধীনতা পূর্নতার দিকে যেতে থাকে। যেই ভাষণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মা বোনদের সম্ভ্রম ও লক্ষ্য শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি সেই স্বাধীনতার মান ও সম্মান আমাদের বজায় রাখতে হবে। স্বাধীনতার সম্মান বজায় রাখার জন্য আজকের শিক্ষার্থীদের কে নিজেদের তৈরি করতে হবে। তবেই দেশ আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
এসময় ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ এধরণের আয়োজনের জন্য শাখা ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানান। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল সহ শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক এ ভাষণটি দেন। তাঁর এ ভাষণটি ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কোর বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের তালিকা ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এমআই