সাইদ আহম্মদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়:
স্পেনের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিমাগো ইনস্টিটিউশন ২০২৪ সালের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক র্যাঙ্কিংয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৩৫ তম। সম্প্রতি ইনস্টিটিউটটির ওয়েবসাইটে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ পেয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে। র্যাঙ্কিংয়ের প্রকাশের ক্ষেত্রে গবেষণা, সামাজিক প্রভাব এবং উদ্ভাবন- এ তিনটি সূচকের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা, সামাজিক প্রভাব এবং উদ্ভাবন- এ তিনটি সূচকের আলাদা আলাদা র্যাঙ্কিং সহ সার্বিক র্যাঙ্কিং প্রাকাশ করে থাকে। সার্বিক র্যাঙ্কিং প্রকাশের ক্ষেত্রে গবেষণায় ৫০%, উদ্ভাবনে ৩০% এবং সামাজিক প্রভাবে ২০% ওয়েট দিয়ে থাকে।
ইনস্টিটিউটটির র্যাঙ্কিংয়ের গত তিন বছরের তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী রিসার্চে ৬তম , সমাজিক প্রভাবে ২২তম, উদ্ভাবনে ৩৪তম এবং সার্বিক র্যাঙ্কিংয়ে ১৩তম অবস্থানে ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়টি।
২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী সামাজিক প্রভাবে আগের অবস্থানে থাকলেও রিসার্চ,উদ্ভাবন সহ সার্বিক র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। রিসার্চে ২ধাপ পিছিয়ে ৮তম, সামাজিক প্রভাবে ২২তম, উদ্ভাবনে ৪ধাপ পিছিয়ে ৩৮তম এবং সার্বিক র্যাঙ্কিংয়ে ১১ধাপ পিছিয়ে ২৪তম অবস্থানে ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়টি।
সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২৪ সালের র্যাঙ্কিংয়ে দেখা যায় উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ১৫ ধাপ এগিয়ে ২২তম অবস্থানে আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। কিন্ত বরারবের মত পিছিয়েছে রিসার্চ এবং সার্বিক র্যাঙ্কিংয়ে। রিসার্চে ৪ধাপ পিছিয়ে ১২তম। সামাজিক প্রভাবে ১৮ধাপ পিছিয়ে ৪০তম এবং সার্বিক র্যাঙ্কিংয়ে ১১ধাপ পিছিয়ে ৩৫ তম অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল বলেন, আমাদের অনেক ভালো ভালো গবেষণা আছে কিন্তু সেগুলো জার্নাল গুলোতে প্রকাশ হয়নি ফলে আমারা সে পয়েন্টটা পাইনি এবং সামাজিক যে প্রচার সেটাও হয়নি। তবে সামগ্রিক ভাবে আমরা অনেক উন্নতি করেছি কোর্সগুলোকে এগিয়ে নিয়েছি রিসার্চে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে আশা করি আমরা সামনে ভালো করতে পারবো।
এমআই