রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের রামদাস ধণীরাম সরদারপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগম এর প্রতারণা ফাঁদে পড়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক কৃষক মধ্যবৃত্ত শ্রেণী মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
আব্দুর রশিদ চাকুরী করেন ঢাকা ওয়াসার এস,পি,ও কার্ড নং- ১৭২৯, পদে এবং তার স্ত্রী আফরোজা বেগম উলিপুর পরিবার পরিকল্পনা গুনাইগাছ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে। ইতিমধ্যে প্রতারণার দায়ে রুবেল ও আজিজার রহমান এর দায়েরকৃত মামলায় আফরোজা বেগম কুড়িগ্রাম জেল হাজতে রয়েছে। অন্য দিকে আব্দুল মালেক এর দায়ের কৃত (মামলা নং-২০/২৩) আব্দুর রশিদ এর নামে ওয়ারেন্ট হলে উলিপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী রুবেল মিয়া মামলা নং-২৪০/২৩ আজিজার রহমান মামলা নং- ২২১/২৩, নজরুল ইসলাম মামলা নং-৪৫০/২২, আব্দুল মালেক মামলা নং-২০/২৩ মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
উলিপুর উপজেলার রামদাস ধনীরাম মিয়াপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়া জানান, আফরোজা বেগম ও আব্দুর রশিদ স্বামী-স্ত্রী মিলে আমাদের গ্রামের ৪০-৫০ জন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ইতিমধ্যে আমার এবং আজিজার রহমানের মামলায় স্বাস্থ্যকর্মী আফরোজা বেগম জেল হাজতে রয়েছেন। তবুও প্রতারকরা কারো কোন প্রকার টাকা না দিয়ে কালক্ষেপন করছেন। এদিকে ভুক্তভোগীরা ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়ে পড়েছে। অপর এক ভুক্তভোগী শহিদুর রহমান জানান আমিও সরল বিশ্বাসে ছেলের চাকুরীর জন্য ঢাকা ওয়াসায় কর্মরত আব্দুর রশিদ কে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ৩ বছর যাবৎ ঘুরছি। চাকুরীও হয় নাই, টাকাও পাই নাই। আমি এখন মামলা দায়ের জন্য উকিল নোটিশ করেছি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা তাদের পাওনা টাকা আদায়ে সবধণের চেষ্টা করেও টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এমআই