স্পোর্টস ডেস্ক:
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরেছিল শ্রীলঙ্কা। ফলে আজ তৃতীয় ম্যাচটিই সিরিজ নির্ধারণী। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে জানিথ লিয়ানাগের লড়াকু শতকে শেষ পর্যন্ত অলআউট হওয়ার আগে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই টাইগার ওপেনার। তবে জোড়া উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সৌম্যের বদলিতে কনকাশনে নামা তামিমের ৮১ রানের ইনিংস ও রিশাদের ঝড়ো ৪৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ৫৮ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কার দেওয়া মাঝারি রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিম। লক্ষ্য তাড়ায় বিজয় দেখে শুনে ধীরে খেলতে থাকলেও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। এই দুই জুটিতে ৫০ করেন। তবে পাওয়ার প্লের আগের ওভারে টাইগারদের এই জুটি ভাঙেন লঙ্কান বোলার লাহিরু কুমারা। লঙ্কান পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে ফার্নান্দোর তালুবন্দী হন বিজয়। সাজঘরে যাবার আগে ২২ বলে ১২ রান করেন তিনি।
বিজয়ের বিদায়ে উইকেটে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে নিজের নামের পাশে ১ রান যোগ করেন তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর তৃতীয় উইকেটে এসে তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। দুই জনের জুটিতে আসে ৪৯ রান। এরপর আবার বাংলাদেশের জুটি ভাঙেন লঙ্কান পেসার কুমার। ইনিংসের ২২তম ওভারে তার শর্ট লেংথের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে মাদুশানের তালুবন্দী হন হৃদয়। সাজঘরে যাবার আগে ২২ রান করেন তাওহীদ।
হৃদয়ের আউটের পর বাইশ গজের উইকেটে আসেন মাহামুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে এসে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি এই অভিঙ ব্যাটার। দলীয় ১১৩ রানে কুমারার চতুর্থ শিকারে পরিনিত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ১ রান করেন রিয়াদ। একপ্রান্তে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তামিম।
কিন্তু শতকের দাঁড় প্রান্তে ছুটতে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটার দলীয় ১৩০ রানে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৮১ বলে ৮৪ রান করেছেন তিনি।
এমআই