সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর পুনরায় বৈশাখী মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসন। এর প্রতিবাদে সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ২টায় মঞ্চ তৈরির স্থানে মানববন্ধন করেছে ক্যাম্পাসের বাম সংগঠনগুলো। এসময় দুই একাডেমিক ভবনের মাঝখানে মঞ্চ তৈরির সিদ্ধান্তকে হঠকারী এবং অবিবেচনাপ্রসূত বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দরা। এছাড়া প্রশাসনকে এ সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে এসে বিকল্প স্থানে মঞ্চ তৈরির আহবান জানান তারা।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, অনুষদ ভবন এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের মাঝে বৈশাখী মঞ্চ তৈরি করতে গত ৩ মার্চ দুই যুগ পুরনো তিনটি গাছ কাটা হয়। গাছ কেটে দুই একাডেমিক ভবনের মাঝখানে মঞ্চ তৈরির এমন সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেখানে মঞ্চ হলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা ব্যাহত হবে বলে জানান তারা। এর পরেরদিন মঞ্চ তৈরির জায়গায় দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। পাশাপাশি স্থান পরিবর্তন করে অন্য স্থানে মঞ্চ তৈরির দাবি জানিয়ে প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করে সংগঠনগুলো। এছাড়া মঞ্চ তৈরির জন্য কাটা গাছগুলোর জায়গায় নতুন গাছ লাগায় ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ। সেসময় উপাচার্য ক্যাম্পাসে না থাকায় সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় মঞ্চ তৈরির কাজ স্থগিত রাখা হয়। সর্বশেষ সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টায় পুনরায় মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করলে তার প্রতিবাদে দুপুরে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ, ইবি শাখার ছাত্রমৈত্রী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী একত্রে ঘটনাস্থলে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে মঞ্চ তৈরির স্থানটি লাল ফিতা দিয়ে ঘেরাও করে দেন তারা।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী শরিফ উদ্দীন বলেন, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঞ্চের কাজ শুরু করেছি। আজকে মডেল অনুযায়ী মঞ্চের লেআউট বসানো হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী কাজ করবো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। কোনো অভিভাবক চায় না তার ছেলেমেয়েদের ক্ষতি হোক। সেখানে তো সবসময় প্রোগ্রাম হবে না, মাঝে মধ্যে হবে। আর প্রয়োজনে নতুন নীতিমালা করা হবে যাতে ক্লাস পরীক্ষা ব্যাহত না হয়। লেখাপড়া বাদ দিয়ে শুধু ফুর্তি হোক এমনটা আমরা চাই না। তবে সাংস্কৃতিক চর্চাও প্রয়োজন। সবকিছু সমন্বয় করেই চলতে হবে।
এমআই