সময় জার্নাল প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ২০২১-২০২২ সালের যে বাজেট পেশ করা হয়েছে তা কল্পনাপ্রসূত, মনগড়া এবং অবাস্তব। আন্দাজে করা এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। বাজেটে বিশাল ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করতে যে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়। এই বাজেট ব্যপকভাবে সংশোধন বা রদবদল করতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে নামমাত্র বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, সামাজিক বেষ্টনীখাতে যা দেয়া হয়েছে তা বাজেটের তুলনায় অত্যান্ত কম, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে অনেক কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজেট অধিবেশন থেকে বের হয়ে জাতীয় সংসদের টানেলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ধারণার বশবর্তী হয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট তৈরী করেছেন। এই বাজেট এতটাই পরিবর্তন করতে হবে যে, তাতে প্রণীত বাজেটের প্রকৃত রুপ থাকবে না। বাজেটে খরচ বাড়িয়েছেন, বাড়ানো দরকারও আছে। কিন্তু অর্থ আহরণের বিষয়ে তারা হোঁচট খেয়েছেন। গেলো বাজেটের লক্ষ্য অনুযায়ী ৬০ ভাগও রাজস্ব আদায় করতে পারেনি দশ মাসে। সামনের দুই মাসে কতটা আদায় করতে পারবেন তাও জানেন না। যেটা প্রাক্কলন করেছেন তাতে যথেষ্ট পরিমাণে ঘাটতি রয়েছে।
তিনি বলেন, জিডিপির ৬ দশমিক ২ ভাগ ঘাটতির বাজেট এর আগে আর হয়নি। ঘাটতির এই বাজেটে যত সুন্দর ভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে তা ডিটেইলে দেখা গেছে অনেক কিছুই ফাঁক আছে। যারা করোনাকালে কর্মহীন হয়েছে এবং দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছেন তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা তাদের জন্য আর্থিক সহায়তার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই এই বাজেটে। স্বাস্থ্য খাতের জন্য সাধারণ মানুষের বিপুল আকাংখা ছিলো, এবার স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের একটা বরাদ্দ হবে এমন আশা ছিলো সাধারণ মানুষের। কিন্তু বাজেটে অত্যান্ত সামান্য বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। এটা সাধারণভাবে বলা যায় রুটিনবৃদ্ধি, কোন ক্রাইসিসের জন্য এই বৃদ্ধি সামান্য এবং অপ্রতুল।
বিরোধীদলীয় এই উপনেতা বলেন, বাজেটের ঘাটতি পূরণে বিদেশী ঋণ, স্বল্পসূদে ঋণ এবং বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ প্রাপ্তির যে কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। আগামীদিনের অর্থনৈতিক যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তাতে এটা আদৌ অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা তা বলা যাচ্ছেনা। তাই রাজস্ব প্রাপ্তিতে যেমন বিশাল সমস্যা হতে পারে, তেমনিভাবে বাজেট অনুযায়ী অর্থায়নেও সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া যেসকল বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে তা মুখে বলেছেন কিন্তু কাগজে মোটেই নেই।
সময় জার্নাল/এসএ