লাইফস্টাইল ডেস্ক : বলা হয়ে থাকে, প্রেম স্বর্গীয়। মর্ত্যে আসতে-আসতে সে প্রেম স্বর্গের অনেক বৈশিষ্টই হারিয়ে ফেলে। বৈষয়িক ও স্বার্থ এসে হাওয়া দেয় প্রেমের পালে। স্বর্গীয় প্রেমের মোড়কে বেশিরভাগ মানুষ আসলে বৈষয়িকতারই চর্চা করে বেশি। ফলে এর পরিণাম ভুগতে হয় মারাত্মকভাবে।
বেশিরভাগ প্রেমের বিয়ে কেনো স্থায়ী হয় না, এ নিয়ে পাশ্চাত্যে বেশ কয়েকটি গবেষণা ও জরিপ হয়েছে। ল্যাবরেটরিতেও প্রেমিক দম্পতির ব্লাডের স্যাম্পল পরীক্ষা করে খুঁজে পেয়েছেন এর সত্যতা বিজ্ঞানীরা।
ইতালির পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডোনাতেলা ম্যারাযিতি এক গবেষণায় দেখেছেন, নারীপুরুষ যখন একে অন্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তখন তাদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যারা প্রেম করেন না এমন মানুষের চেয়ে তাদের দেহে সেরোটোনিন শতকরা ৪০ ভাগ কম।
সেরোটোনিন হলো দেহের এমন এক নিউরোট্রান্সমিটার, যা কমে গেলে মানুষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। শুধু তাই নয়, এমন মানুষ সবসময় বিষণ্ণতা, অবসাদ এবং খিটখিটে মেজাজের সমস্যায় ভুগে থাকেন।
মনোবিজ্ঞানী অ্যালেন বার্শাইড বলেন, প্রেমে পড়লে মানবদেহে নানান বিক্রিয়া ঘটে। মূলত মস্তিষ্কের নানান প্রক্রিয়া দেহ ও আচরণে ফুটে ওঠে। এ বিজ্ঞানীর মতে, প্রেমে পড়া ব্যক্তির বোধ-বুদ্ধি অনেকাংশেই লোপ পায়। ফলে প্রেমিক বা প্রেমিকার মন্দ কাজ চোখেই পড়ে না।
কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর যখন প্রেমের প্রভাব পুরোপুরি কেটে যায়, তখন মানুষের চোখ খুলে যায় এবং সঙ্গীর ভেতর এমন সব আচরণ দেখতে পায়, যা সে মোটেও পছন্দ করে না। মজার ব্যাপার হলো, এমন বিরক্তিকর আচরণ কিন্তু সঙ্গীর ভেতর নতুন করে জন্ম নেয়নি, আগে থেকেই ছিলো।
এ প্রক্রিয়া যখন চলতে থাকে, তখনই মানুষের জীবনে ‘বিচ্ছেদ’ আসে সামাধান হয়ে। তাই বিষেশজ্ঞরা বলছেন, যাকে জীবনসঙ্গী করবেন, তার সঙ্গে মানসিকতার মিল আছে না এ ব্যাপারে অন্ধ হলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী।
সময় জার্নাল/এসএ