সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ব-স্বায়ত্বশাসিত ও সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কেবল আগামী ১ জুলাই বা তার পরে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই এই পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় আসবেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক এবং একপেশে বলে দাবি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি। উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্যই এমন নীতি অনুসরণ করা হয়েছে বলে মনে করেন সংগঠনটির নেতারা।
রোববার (২৩ মার্চ) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গত ১৩ মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত এই প্রজ্ঞাপন স্পষ্টত
বৈষম্যমূলক। এ ধরনের প্রজ্ঞাপনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ হতাশ ও সংক্ষুব্ধ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রাপথে জাতির মেধাবী সন্তান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী যখন নিষ্ঠাবান রয়েছেন তখন এটি আমাদের হতাশ করেছে। সর্বোপরি এটি শিক্ষকসমাজের জন্য অবমাননাকর।
তারা আরও বলেন, ২০৪১ সাল অবধি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্যই এ ধরনের একপেশে নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, অন্যদিকে এ পেশা থেকে মেধাবীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে।
এছাড়া বিবৃতিতে সর্বজনীন নাম দেয়া পেনশন স্কিম সর্বজনীন না করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বিশেষ বৈষম্যমূলক পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে এর তীব্র বিরোধিতা করা হয়। পাশাপাশি জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাখান করা হয় এবং অনতিবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
এমআই