স্পোর্টস ডেস্ক:
খালেদ-শরিফুলদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় সিলেট টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। ৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা সংগ্রহ করে ১১৯ রান। আর তাতে লঙ্কানরা ২১১ রানের লিড নিয়ে শেষ করেছে দ্বিতীয় দিনের খেলা।
৯২ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি লঙ্কানদের। তবে দলীয় ১৯ রানের মাথায় নিশান মাদুশঙ্কাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা স্বস্তি দেন অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানা। ২০ বলে ১০ রান করে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এরপর চা বিরতিতে যায় উভয় দল। চা বিরতি পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার লিড হয় ১১১ রান।
চা বিরতির পর আবারও লঙ্কান শিবিরে আঘাত হেনেছেন রানা। এবার তার শিকার কুশল মেন্ডিস। রানার করা বাউন্সার পুল করতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে ছেড়ে দিতে গিয়ে ব্যাট ছুইয়ে দেন কুশল। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল চলে যায় লিটন কুমার দাসের গ্লাভসে। ১০ বলে ৩ রান করে ফিরেছেন মেন্ডিস।
এর আগে ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে দিনের শুরু করে বাংলাদেশ। তবে এক তাইজুল ছাড়া আর কেউ পারেননি সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে। যার ফলে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় লাল-সবুজের দল। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দো।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৫৩ রানের মাথায় সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ৪৬ বলে ১২ রান করে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের পর শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তাইজুল ইসলাম। এই দুইজনের জুটিতে যোগ হয় আরও ৩০ রান।
দলীয় ৮৩ রানের মাথায় ফেরেন দিপু। কুমারার বলে সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ১৮ রান। ডানহাতি এই ব্যাটারের বিদায়ের পর লিটনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তাইজুল। এই দুইজনের ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ১২৪ রানের মাথায় লিটনের বিদায়ে ভাঙে প্রতিরোধ। ৪৩ বলে ২৫ রান করে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর দলীয় ১৪০ রানের মাথায় তাইজুলের বিদায়ে বড়সড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ৮০ বলে ৪৭ করে ফেরেন এই ব্যাটার। শেষদিকে খালেদ-শরিফুলের ব্যাটে ১৮৮ রানে টাইগাররা আউট হলে লঙ্কানদের বড় লিড নিতে দেয়নি বাংলাদেশ।
এমআই