স্পোর্টস ডেস্ক:
শ্রীলঙ্কার দেয়া ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সর্বনাশটা গতকালই ডেকে এনেছিল টাইগাররা। ৪৭ রান তুলতেই হারিয়েছিল ৫ উইকেট। এরপর গতকাল শেষবেলায় এবং আজ চতুর্থ দিনে ছোট ছোট কয়েকটি জুটিতে হার ঠেকিয়ে রেখেছিলেন মুমিনুল হক। তবে শেষ পর্যন্ত বিফলেই গেল তাঁর এই প্রতিরোধ।
৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তুলে আজ মধ্যাহবিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশন শুরুর পর স্কোরবোর্ডে আর ৫৩ রান যোগ হতেই বাকি ৩ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। ১৮২ রানে অলআউট হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হল স্বাগতিকরা।
আজ তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ দিনের ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলা তাইজুল এবার অবশ্য ফিরেছেন দিনের শুরুতেই।এরপর মুমিনুলের সঙ্গী হয়েছিলেন মেহেদী মিরাজ। দুজন মিলে প্রতিরোধ গড়েছিলেন ভালোই। লঙ্কান বোলারদের সামলে জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে তুলেছিলেন ৬৬ রান। তবে এরপরই কাসুন রাজিথার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন মিরাজ।
আউট হওয়ার আগে ৫০ বল খেলে ৩৩ রান করেন মিরাজ। এদিকে মিরাজ ফিরলেও বাংলাদেশ প্রথম সেশন উতরে যেতে পেরেছে ব্যাট হাতে মুমিনুলের একার লড়াইয়ে। টেস্ট স্পেশালিষ্ট এই ব্যাটার প্রথম ইনিংসে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে এসে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন তিনি।
মিরাজ ফেরার পর ক্রিজে মুমিনুলের সঙ্গী হন শরিফুল ইসলাম। এ দুজনের ব্যাটেই মধ্যাহবিরতিতে যাওয়ার আগে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তুলে বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল। শরিফুলও যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন টাইগারদের সাবেক টেস্ট অধিনায়ককে।
শেষদিকে শরিফুল-মুমিনুল জুটিও স্কোরবোর্ডে তুলে ৪৭ রান। কিন্তু কাসুন রাজিথার করা বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় শরুফুলকে। এরপর খালেদ আহমেদ এবং নাহিদ রানাও ফিরেন দ্রুতই। অপরপ্রান্তে মুমিনুল ৮৭ রানে অপরাজিত থাকলেও তাই ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানেই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চচ ৫টি উইকেট নিয়েছেন রাজিথা।
এমআই