নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল কে থানার সীমানা প্রাচীরের ভিতরে পুলিশের সামনে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ধানশালিক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়,গত ২৫ ই মার্চ (সোমবার) বিকাল ৪ ঘটিকার সময় ধানশালিক ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডে চর গুল্লাখালী গ্রামে রিক্সা চালক নুরুল হক এর চলাচলের রাস্তার সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়।
এই বিষয় ভুক্তভোগী পারভিন আক্তার বলেন, আমার স্বামী চলাচলের জায়গাটি কিনেছেন, এখানে তাদের কোন জায়গা নেই আমরা যখনই সীমানা দেই তখনই আমাদের সীমানা তুলে ফেলে দেয় নিলয়(২৬) ও রাসেল(৩০) ,তারা সীমানার ধন্দের জের ধরে আমার বাড়িতে এসে বহিরাগত লোকজন নিয়ে আমার স্বামীকে হুমকি-ধমকি দেয়। এ বিষয়ে আমি আমার শাশুড়ি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন কে জানালে তিনি বলেন, আমি তাদের বিচার করতে পারবো না।
তিনি আরো বলেন, গত ২৫ মার্চ (সোমবার) বিকাল ৪ ঘটিকার সময় নিলয় ও রাসেলের নেতৃত্বে বহিরাগত লোকজন এনে আমাদের উপর হামলা করে। এতে গুরুতর ভাবে তিন জন আহত হয়। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ আসে।
আহতরা হলেন মোঃ রহিম(৩২), নূর আলম(২২), বিবি কুলসুম(৫০), মোঃ সেলিম(৩০)।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হামলাকারী রাসেল ও নিলয় কে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, পরে তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেন পারভিন আক্তার।
ঘটনার বিষয়ে ৬ নং ওয়াড় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল বলেন, আমি একটা জানাযায় গিয়েছি সেখান থেকে এসে দেখি তিনজন মাটিতে পড়ে আছে তাদের মাথা থেকে রক্ত ঝরছে। সাথে সাথে দেখলাম কবিরহাট থানা থেকে দারোগা প্রতাপের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম আসে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের দুজনকে গ্রেফতার করে। আমি আহতদের নিয়ে কবিরহাট থানার ওসির সাথে দেখা করতে গেলে থানার সীমানা প্রাচীর (দেয়ালে) ঢোকার সাথে সাথে পিছন থেকে সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান ও তার দলবল আমার উপর হামলা করে। থানার ভেতর এবং বাহিরে দুই জায়গায় আমার উপর হামলা করে তারা। আমাদেরকে থানার ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। পরবর্তীতে আহতদের নিয়ে সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাস্তার মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে আবারও আমার উপর হামলা করেন তারা।
এ বিষয় জানতে নিলয় ও রাসেলের বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায় নাই।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, মূলত চেয়ারম্যান ব্যাপারটা নিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত হওয়ার জন্য থানার ভিতরে অনুরোধ করেন, চেয়ারম্যানকে কারো গায়ে হাত তুলতে আমরা দেখি নাই।
হামলার ঘটনা বিষয় জানতে চাইলে, ধানশালিক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইজবুক) লাইভ করে আসল ঘটনাটি তুলে ধরব।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবিরের কাছে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানার ভেতর কোন মারামারি হয় নাই, আমার কাছে ৯৯৯ থেকে কল আসার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। থানার ভিতরে থাকা সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় ২৫ ই মার্চ রাত ৮টায় থানার সীমানা প্রাচীরের ভিতরে সিসি ক্যামেরাটি ত্রুটি জনিত (ইন্টোরিয়াল ডেকোরেশন) কারণে বন্ধ থাকে অন্য একটি ক্যামেরাতে দেখা যায় চেয়ারম্যান সহ কিছু লোকজন থানার ভিতরে চলাফেরা করছে ,তবে থানার ভিতরে মারামারির কোন দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়নি সব দৃশ্য স্বাভাবিক ছিলো। ওসি আরো বলেন, ঘটনার বিষয় এখনো কেউ অভিযোগ দেয় নাই দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
এমআই