আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া ও কাটাখালি মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মোংলা-খুলনা, মোংলা-বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কের কাটাখালি থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত মহাসড়কটির দুটি স্থানে সড়কের উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাগেরহাট জেলায় চারটি সংসদীয় আসন বহাল ছিল। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের একটি আসন কমানো প্রস্তাব জেলাবাসীকে হতাশ করেছে। আমাদের বঞ্চিত করা চলবেনা। নির্বাচন কমিশন তার প্রস্তাব থেকে সরে না আসলে মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট জেলাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে লাগাতর কঠোর আন্দোলন করা হবে। বাগেরহাটের একটি সংসদীয় আসন কমানোর প্রতিবাতে ইতিমধ্যে বাগেরহাট জেলাজুড়ে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। আগামী সোমবার (২৪ আগষ্ট) আমরা সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছি।
এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা জামায়াতের আমির ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, বাগেরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম গোড়াসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘযুগ ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল। হঠাৎ করেই নির্বাচন কমিশন গত ৩০ জুলাই দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
এর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান এমনকি ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছেন বাগেরহাটবাসী। আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
একে