বজ্রপাতে জামালপুরে পৃথক স্থানে ছয় ব্যক্তি ও দুটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় একজন নারীসহ তিনজন ও দুটি গরু, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় মারা গেছেন একজন করে। আজ শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় এসব স্থানে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের পূর্বকলকিহারা গ্রামের মহিজল হকের ছেলে হরবাদশা (৪৫), একই গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী আকিজা বেগম (৩৫) ও উত্তর মাইছানিরচর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান (৫৫) বজ্রপাতে মারা যান। তাদের মধ্যে হরবাদশা ক্ষেত থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে, আকিজা বেগম বাড়ির পাশে ধান শোকানোর সময় এবং খলিলুর রহমান স্থানীয় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। এ সময় একই ইউনিয়নের মাদারেরচর গ্রামের বুদু মিয়ার দুটি গরু বজ্রপাতে মারা গেছে।
অপরদিকে একই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নে রানা মিয়া (১৮) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক বজ্রপাতে মারা গেছেন। রানা মিয়া স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে দিঘিরপাড় এলাকায় বজ্রপাতের শিকার হন। তিনি দেওয়ানগঞ্জের গামারিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
এ ছাড়া বিকেল ৫টার দিকে জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের বাড়ই পটল গ্রামে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে আঙ্গুরী বেগম (৪৫) নামে একজন গৃহবধূ মারা গেছেন। তিনি স্থানীয় মোজাম্মেল হকের স্ত্রী। সন্ধ্যায় বৃষ্টির সময় মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বীর ঘোষেরপাড়া গ্রামের কৃষক তাজেল মণ্ডল (৪০) বাড়ির কাছে মাঠে খড় গোছানোর কাজ করছিলেন। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তিনি মারা যান। তিনি স্থানীয় কাজিম উদ্দিনের ছেলে।
দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ও থানা সূত্র বজ্রপাতে ছয় ব্যক্তি ও দুটি গরুর মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সময় জার্নাল/এমআই