সাইফুল আরেফিন, পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এখন প্রতিদিনের নতুন নতুন চমকে পরিনত হচ্ছে। দিশেহারা নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মজীবিরাও, সেখানে শিক্ষার্থীরা সবকিছু অন্ধকারই দেখছে।
মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সব বয়সের ক্রেতারা উদ্বিগ্ন থাকে ঈদকে কেন্দ্র করে। সেই পবিত্র লগ্নের অপেক্ষা আর বেশি দিনের নয়,অল্প কয়েকদিন পর সেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুমিনরা পবিত্র ঈদকে নতুন গল্পে,নতুন ধ্যানে, নতুন পোশাকে বরণ করার সেই চিরাচরিত প্রয়াস কি আর ভুলে যেতে পারে?
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা একটা বড়সড় বন্ধ পেয়ে থাকে। তাদের স্বপ্ন দীর্ঘ সময় পর মায়ের হাতের রান্না খাওয়ার, প্রিয় মানুষের পাশে থেকে আনন্দের প্রাচুর্যে হারিয়ে যাবার। সে কি আর বর্তমান সময়ের বাজারে সম্ভব? ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি থেকে শুরু করে সব কিছুর চড়া দাম। বড় বড় ব্র্যান্ডের সব কাপড় কেনার স্বপ্ন আকাশ কুসুম কল্পনার সামিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী রিফাত বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন," স্বপ্ন অনেক বড়,বাস্তবায়ন করা অসম্ভব বস্তু বর্তমান ঊর্ধ্বগতির বাজারে"।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হুজাইফা বলেন," আমার খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড ইলিয়ান ব্রান্ড থেকে পাঞ্জাবি কিনে ৭ হাজার টাকা দিয়ে আর আমার পুরো শপিং এর বাজেট ৫ হাজার, বর্তমান বাজারে ৫ হাজার টাকা দিয়ে কিছু কেনা গোবর গনেশ আলোচনা করার মতোই"।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাইহান বলেন, " আমাদের মতো নিম্নবিত্তের পরিবারে শপিং একটা অনিধিকার চর্চার মতো"।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সব ক্ষেত্রে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট আর রমরমা ব্যবসায়িক চিন্তা। শেয়ার বাজারের মান বাড়িয়ে দিয়েছে সব শহরেই।সব কিছুর মূল্য ৫০-৬০শতাংশ বেড়েছে। তবুও কমেনি ত্রেতা, ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে ঈদ গ্রহণের প্রস্তুতি। আনন্দের প্রাচুর্যতা ও আবেশ শিক্ষার্থী দ্বিগুণ হারে খুঁজে পায় পরিবারের ছায়াতলে।
সময় জার্নাল/এলআর