রামু প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের রামু চাকমারকুল কলঘর ফুয়ার চরে জিয়াবুলের অবৈধ বালু মহালে এস্কেভেটরের বাকেটের ধাক্কায় সাদেক হোসেন নোমান (১৮) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে ফুয়ার চরে জিয়াবুলের অবৈধ মহালে এস্কেভেটর দিয়ে বালু ১০ চাকার বড় ট্রাকে ভর্তি করার সময় এস্কেভেটের বাকেটের ধাক্কায় সাদেক হোসেন নোমান গুরুত্বর আহত হন।
তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সাদেক হোসেন নোমান খুটাখালী ১নং ওয়ার্ড সাতঘরিয়া পাড়ার কবির আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে খুটাখালী ১নং ওয়ার্ডের সলিমুল্লাহ মেম্বার জানান, কলঘর ফুয়ার চর জিয়াবুলের মহালে এস্কেভেটর দিয়ে বালু ১০ চাকা ট্রাকে ভর্তি করার সময় এস্কেভেটর বাকেটের ধাক্কায় তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাদেক হোসেন নোমান মারা গেছেন বলে শুনেছি।
রামু থানার এস আই সুনয়ন বড়ুয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হন। অন্যদিকে জিয়াবুল সওদাগরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বালু মহলটি তার স্বীকার করে জানান ডুলাহাজারার এক বালু ব্যবসায়ীকে ১০ চাকার ট্রাকে বালু বিক্রি করেছেন। এস্কেভেটের ধাক্কায় সাদেক হোসেন নোমান নামে যে শ্রমিক নিহত হয়েছেন সে ট্রাকের শ্রমিক বলে দাবি করেন জিয়াবুল সওদাগর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে জিয়াবুল সওদাগর ও তার ছেলে জামসেদ এবং বাবুলের নেতৃত্বে নতুন চর পাড়া ফুয়ার চরে অবৈধভাবে বাঁকখালী নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও জিয়াবুল সওদাগর ও তার ছেলে জামসেদের বিরুদ্ধে নতুন চর পাড়াস্থ বাঁকখালী চর এলাকায় এস্কেভেটর দ্বারা ফসলী জমি গভীর গর্ত করে মাটি কেটে ইট ভাটায় পাচার মাটি পাচার করার অভিযোগ রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় খুটাখালী কচ্ছপিয়া ঈদগাঁ মাঠে নিহত সাদেক হোসেন নোমানের নামাজে যানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে শ্রমিক সাদেক হোসেন নোমানের মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অপচেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
এমআই