ধর্ম ডেস্ক:
কোরআনের ২৮ নং পারা । এ পারায় রয়েছে সুরা মুজাদালাহ, সুরা হাশর, সুরা মুমতাহিনাহ, সুরা সাফ, সুরা জুমআ, সুরা মুনাফিকুন, সুরা তাগাবুনম, সুরা তালাক ও সুরা তাহরীম।
পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:
১. নিজে ইসলাম পালন করার পাশাপাশি নিজের পরিবারকে ইসলাম পালনে উদ্বুদ্ধ করা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখার মাধ্যমে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদের ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন হতে বাঁচাও যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর; যেখানে রয়েছে নির্মম ও কঠোর ফেরেশতাকূল, আল্লাহ তাদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তারা সে ব্যাপারে তার অবাধ্য হয় না। আর তারা তা-ই করে যা তাদেরকে আদেশ করা হয়। (সুরা আত-তাহরীম: ৬)
২. আল্লাহর দেওয়া রিজিক ব্যয় করুন আল্লাহর নির্দেশিত পথে। আপনার ওপর অর্পিত ওয়াজিব দায়িত্বগুলো পালন করুন। সামর্থ্য অনুযায়ী নফল সদকাও করুন। আল্লাহ তআলা বলেন, আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে (আল্লাহর নির্দেশিত পথে) ব্যয় কর তোমাদের মৃত্যু আসার আগে। কেননা তখন সে বলবে, হে আমার রব, যদি আপনি আমাকে আরো কিছু কাল পর্যন্ত অবকাশ দিতেন, তাহলে আমি দান-সদকা করতাম আর সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। (সুরা মুনাফিকুন: ১০)
৩. জুমার দিন জুমার আজান হয়ে গেলে দুনিয়াবি সব কাজ কর্ম ছেড়ে দ্রুত জুমার নামাজের দিকে যেতে হবে। জুমার আজানের পর দুনিয়াবি কাজে ব্যস্ত থাকা নাজায়েজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমুআ: ৯)
এমআই