বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
পুরোনোকে বিদায় করে আসছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে বরণ করবেন বাঙালিরা। বর্ষবরণের মূল আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা থেকে। দিনটি পালনে ঢাবির পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার চারুকলা অনুষদে মঙ্গল শোভাযাত্রার পোস্টার নকশার প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর জয়নুল গ্যালারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা দেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
নির্দেশনায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইভটিজিংসহ সবধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা থাকবে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্যাম্পাসে নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষ উদযাপনের জন্য সর্বসাধারণ আগামীকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন। ৫টার পর কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে।
আরও বলা হয়, আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষ উপলক্ষ্যে আগামীকাল ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে আগামীকাল ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখস্ত রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগত ব্যক্তিবর্গ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদের সামনের ছবির হাটের গেইট, বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে প্রস্থানের পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেট ও বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ব্যবহার করা যাবে।
তিনি বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণের জন্য ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে পুলিশ কন্ট্রোল রুম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টার এবং ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনের অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
মাকসুদ কামাল বলেন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশেপাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে এবং খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সংবাদ সম্মেলনে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এমআই