নিজস্ব প্রতিনিধি:
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন আবারও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
চলতি বা আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান শাহীন।
এর আগে জামিনের জন্য করা আবেদনটি গতবছর হাইকোর্টের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে)ছিল। ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের কার্যতালিকার ৪৯৭ নম্বরে ছিল, তখন মিন্নির জামিন আবেদন শুনানি হয়নি।
এর আগে একই বছরের ১১ মে হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সেদিন শুনানি হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় শুনানির জন্য তালিকায় আসে। তারও আগে একই বছরের ৮ মে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করেন।
এরও আগে গত বছরের (২০২৩ সালের) ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মিন্নির জামিন আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলেন। এরপর একই বছরের ৮ মে আবারও আবেদন করেন মিন্নি।
পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায়। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করে।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগিরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।
হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
অন্যদিকে, বিচার শেষে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। রায়ে ৬ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি তিনজনকে খালাস দেন আদালত।
সময় জার্নাল/এলআর