যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নিয়ে আসা 'সোলার প্যানেল' এর ট্রাক আটকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে কতিপয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এর পরদিন বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ও প্রক্টর বডির উপস্থিতিতে ট্রাকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করে পণ্য খালাস করেছে। তবে এসময় আর কেউ বাঁধা প্রদান করেনি।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরোপুরি গ্রীন এনার্জির আওতায় আনার জন্য বুধবার চট্রগ্রাম থেকে ১২টি ট্রাকে করে সোলার প্যানেল নিয়ে আসে সুপার স্টার রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেড। কিন্তু ৫টি ট্রাক সোলার প্যানেল আনলোড করতে পারলেও চাঁদা দাবি করে বাকি ট্রাক গুলে আটকে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২টি ট্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে বাকি পাঁচটি ট্রাক যশোরে এক বাস টার্মিনালে অবস্থান করে। এরপর বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে যবিপ্রবি উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে ট্রাকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে সোলার প্যানেল আনলোড করে ।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সৌর বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসার জন্য টেন্ডার নেওয়া থেকে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোলার প্যানেল নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে জানতে পারি মোট ১২টি ট্রাক এর মধ্যে ৫টি ট্রাক কোম্পানি আনলোড করতে পেরেছে। বাকি ৭টি ট্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা আটকে রেখে চাঁদা দাবি করা হয়। তাই আজ সকালে আমি নিজের তত্ত্বাবধানে গাড়িগুলো ক্যাম্পাসে প্রবেশের ব্যবস্থা করে দেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এইসকল ভালো কাজে যদি এইরকম বাধা আসে তাহলে এইটা অনেক দুঃখজনক। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ কমে যাবে। যারা এইসব অপকর্মে জড়িত ছিল তাদের পরিচয় জানা গেছে। তবে আমি এখন নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। ভবিষ্যতে যদি তারা আবার কাজে বাধা দেয় তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ, গত বছরের জুনে যবিপ্রবি ও সুপার স্টার রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেড এর মধ্যে সৌরবিদ্যুত উৎপাদনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে কোম্পানিটি।
সময় জার্নাল/এলআর