সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অধ্যায়নরত মেধাবী এবং অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাকৃবি এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরাম ১৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বৃত্তি প্রদান করেছে। মাসিক ২০০০ টাকা হারে প্রাথমিকভাবে এক বছরের (২ সেমিস্টার) জন্য এই বৃত্তি প্রদান করা হবে।
রোটারেক্ট ক্লাবের বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্যদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আর্থিক সহযোগিতায় এই বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
শনিবার ( ২০ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি অনুষদীয় ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ওই বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
বাকৃবি এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের প্রাক্তন সভাপতি ড. এ.এস.এম আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, রোটারেক্ট ক্লাবের প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্য, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বৃত্তি প্রাপ্ত কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলপনা অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমার পিতা একজন কৃষক। আমরা ৭ বোন ও এক ভাই। স্বাভাবিকভাবেই আমার পিতার পক্ষে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করে আমাদের শিক্ষার খরচ যোগানো সম্ভব হয় না। এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের এই বৃত্তি একটু হলেও আমার চলার পথকে মসৃণ করবে।
এসময় ড. ছাজেদা আক্তার বলেন, বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের চাওয়া তারা নিজেদের একাডেমিক উন্নতির মাধ্যমে নিজেদের জীবন গড়বে এবং বাকৃবিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, যে সকল শিক্ষার্থী সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকে তাদেরকে আমি সোনার ছেলে মনে করি। এই ধরনের শিক্ষার্থী দিয়ে যদি বিশ্ববিদ্যালয় ভরে যেত তাহলে বোধহয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে চিন্তা, ভাবনার আরো অনেক বেশি সুযোগ পেত।
সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টির সেরা করে তৈরি করেনি বরং মানুষ তার মেধা, কর্ম ও মানবিকতা দিয়ে সেরা হতে হয়। বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের এই বৃত্তি কার্যক্রম একটু হলেও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের চলার পথ মসৃণ করতে ভূমিকা রাখবে।
সময় জার্নাল/এলআর