হিলি প্রতিনিধি
মোবাইলে ছেলে মেয়ের গেম খেলা ও ভিডিও দেখাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মাকে পিটিয়ে হত্যা করল বাবা। এসময় ছেলে ও মেয়েকেও বাবা পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করে।
পরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ৫ বছরের মেয়ে আফরিন আক্তার মারা যায়। আর এক ছেলে আল আমিন (১২) দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছে। এঘটনায় হত্যার অভিযোগে বাবা শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউতপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর (চিনির চড়া) গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মা মর্জিনা বেগম (৩০) বাহিরে রান্না করছিল। এসময় ছেলে আম আমিন (১২) ও মেয়ে আফরিন আক্তার (৫) দুই ছেলে মেয়ে দুজন ঘরে বসে মোবাইলে দেখছিলো এ সময় হঠাৎ ছেলে-মেয়েরা চিৎকার চেঁচামেচি করলে মা ছেলে মেয়েকে থামতে বলে।
এক পর্যায়ে মা ছেলে মেয়েকে চর থাপ্পড় দিলে বাবা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এসময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে স্বামী শহিদুল ইসলাম খাটের চৌকাট দিয়ে স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩০)কে পিটিয়ে হত্যা করা করে। এসময় ছেলে মেয়েকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা শিশু দুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে আফরিন আক্তার (৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম জানান, গত রাতেই নিহত মর্জিনার মা গোলাপি বেগম বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে নিহতের স্বামী শহিদুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
নিহতের সুরত হাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের আরো কোন বিষয় আছে কিনা তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সময় জার্নাল/এলআর