সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে এক ছাত্রকে নগ্ন করে র্যাগিংয়ের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দোষীদের শাস্তির সুপারিশসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর তদন্ত প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে উভয় কমিটি।
জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। র্যাগিংয়ে ভুক্তভোগীকে লোহার রড দিয়ে পেটানো ও একপর্যায়ে উলঙ্গ করে পর্ণগ্রাফি দেখতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষ। দুই কমিটি কয়েক দফায় ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকার নেয়। এতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী মুদাচ্ছির খান কাফি ও মোহাম্মদ সাগরের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি।
এই দুজন ছাড়াও অপর একজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে হল প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। এতে ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছে উভয় কমিটি। এছাড়া বাকিদের সংশ্লিষ্টতা কম থাকায় তাদেরকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি ১৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এ বিষয়ে হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, সোমবার হল প্রভোস্ট বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন হল প্রভোস্ট বরাবর জমা দিয়েছি। আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে।
লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, তিনজনের সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারের বাইরে হওয়ায় আমরা কর্তৃপক্ষ বরাবর সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, আমরা ঈদের আগেই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর বিধি অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করেছি৷
এমআই