নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করলো কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। বর্তমানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়েট উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৫১তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আজ একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তক্রমে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাত্রদের আজ বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর আগে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের একাডেমিক কাউন্সিলের সম্মেলনকক্ষে এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।
দুই শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার পর থেকে চারদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেন কিছু শিক্ষার্থী। বর্তমানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এমআই