সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি প্রতিনিধি:
কৃষি প্রযুক্তি প্রচার ও প্রসারে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) প্রবর্তিত প্রথমবারের মতো কৃষি সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০২৪ পেলেন কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (বাকৃবিসাস) সাথে যুক্ত থেকে প্রায় অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠের বাকৃবি প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন কৃষি বিষয়ক ম্যাগাজিনে লেখক হিসাবেও কাজ করে যাচ্ছেন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে পুরস্কার বিতরণী ও বার্ষিক কর্মশালার প্রধান অতিথি সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম তাঁর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. সী. জাউসীন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজা বেগম।
জানা গেছে, দুই দিনব্যাপী ওই কর্মশালায় ২০২২-২০২৩ এ চলমান গবেষণার এইচ-ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করে বাকৃবির মোট ১৬ জন গবেষককে ‘গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ প্রদান করা হয়। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খামারি পর্যায়ের ৬ জন কৃষককে ‘প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি কৃষি পুরস্কার-২০২৩’ প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত গবেষণা প্রকল্প থেকে উন্নত মানের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে আর্টিকেল প্রকাশ করায় প্রকাশনা খরচ বাবদ ৬১ জন গবেষককে মোট ২৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
পুরস্কার প্রাপ্তির পর অনুভূতি জানতে চাইলে কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজ বলেন, ‘বাউরেসের প্রবর্তিত প্রথমবারের মতো পুরস্কারটি পেয়ে আমি খুবই খুশি এবং অনুপ্রাণিত। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে, কৃষি সাংবাদিকতায় এমন একটি পুরস্কারের প্রবর্তন করার জন্য। কৃতজ্ঞতা জানাই জুরিবোর্ডের সবাইকে, তাঁরা পুরস্কারটির জন্য আমাকে যোগ্য মনে করেছেন। নিঃসন্দেহে এটি আমার কাছে অনেক আকাক্সিক্ষত একটি পুরস্কার। ভীষণ ভীষণ ভালো লাগছে, এই পুরস্কারটি আমার কৃষি সাংবাদিকতা করার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিল।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) প্রতিবছর শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার ও নগদ অর্থ প্রদান করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষি সাংবাদিকতায় প্রথমবারের মতো এ বিশেষ অ্যাওয়ার্ড চালু করলো।
এমআই