অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ওরফে ভুলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পরাজিত প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরীকেও আটক করা হয়েছিল। তবে রাত দেড়টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনা গতকাল রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানা দুটি মামলা করেছেন। এতে একটি মামলা বিজয়ী চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। অন্য আরেকটি মামলায় ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তার ফারুক ইবনে হুছাইন ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। এ ছাড়া জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে অটোরিকসা প্রতীকের প্রার্থী বোরহান চৌধুরীকে হারিয়ে আনারস প্রতীকে ফারুক ইবনে হুছাইন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।
সীমানা জটিলতা ও মামলার কারণে তেওয়ারীগঞ্জসহ সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ১৩ বছর নির্বাচন স্থগিত ছিল। গতকাল ইউনিয়নগুলোয় ভোট গ্রহণ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাতে ভোটের দিন ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে অটোরিকশা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী বোরহান চৌধুরী ভোট কম পাওয়ায় তাঁর সমর্থকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় তাঁরা বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েন। বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকেরা এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি-সার্কেল) সাইফুল আলমের গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে যায়।
পরে খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে বিজয়ী চেয়ারম্যান ভুলু ও পরাজিত প্রার্থী বোরহানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার সাংবাদিক অ আ আবীর আকাশকে বলেন, ফলাফল ঘোষণা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়৷ এই ঘটনা পুলিশ বাদী হয়ে থানা দুটি মামলা করে। একটি মামলা বিজয়ী চেয়ারম্যান ফারুক ইবনে হুছাইনকে আসামি করা হয়েছে।
এমআই