আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হাঙ্গামা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গণগ্রেপ্তারের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
তবুও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তার নির্দেশই প্রাধান্য পাবে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানাতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ বাড়তে থাকলেও এতদিন কোনো মন্তব্য করেননি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) লস এঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ প্রতিবাদকারীদের শিবির উচ্ছেদ করে ২০০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে আটক করার কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি সরব হন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে শুরু করে ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার মুখে হোয়াইট হাউস থেকে টেলিভিশন বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমরা কর্তৃত্ববাদী জাতি নই যে, জনগণের ভিন্নমতকে দাবিয়ে রাখব। তবে আমরা আইনবিহীন কোনো দেশের অধিবাসী নই। আমরা সুশীল সমাজের অংশ এবং নির্দেশ বজায় থাকবে।’
এর আগে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে পুলিশ কর্মকর্তাদের মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় শিবিরে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা ছাতা, হেলমেট ও প্লাস্টিকের বর্ম নিয়ে পুলিশের মুখোমুখি হয়। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের জোর করে সরিয়ে দেয়।
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানাতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কমপক্ষে ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা গত প্রায় এক মাস ধরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে যাচ্ছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলার মাধ্যমে সূত্রপাত হয় গাজা যুদ্ধের। হামাসের হামলায় এক হাজার ৭০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক।
পাশাপাশি হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে গাজা উপত্যকায় বিরামহীন বোমাবর্ষণ ও সামরিক অভিযান চালায় ইসরায়েল।
তাদের হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী।
সময় জার্নাল/এলআর