সময় জার্নাল ডেস্ক: জীবন ও জীবিকার বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিয়ে মহান জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জনকল্যাণমুখী জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বাজেট প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
সোমবার (৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে রিহ্যাব জানায়, করোনার মতো ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার সুচিন্তিত সময়োপযোগী বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সরকার আবাসন খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী বিশেষ করে রড, সিমেন্ট, টাইলসসহ বিভিন্ন কাঁচামালে যে বিশেষ শুল্ক ছাড় দিয়েছে তার জন্য আমরা অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে সরকার ফ্ল্যাট এবং অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের যে সুবিধা অব্যাহত রেখেছে তা এই খাতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সরকারি হিসাব মতে, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতির মূল্য স্রোত ধারায় এসেছে। যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। যা কোভিড পরিস্থিতিতে অর্থনীতির প্রাণচাঞ্চল্য ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই নীতি অব্যাহত থাকলে আরো বহুগুণ অর্থ অর্থনীতির মূলধারায় যোগ হবে, যা প্রকারান্তে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
রিহ্যাব জানায়, প্রস্তাবিত বাজেটে কর্পোরেট এবং বার্ষিক টার্নওভার কর হার কমানো হয়েছে, যা খুবই ইতিবাচক। এ বাজেট যেমন ব্যবসাবান্ধব তেমনি বাস্তবোচিত এবং জনবান্ধব। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সব মিলিয়ে সমগ্র নির্মাণ খাতে প্রায় ৫০ লাখ জনশক্তি জড়িত। রিয়েল এস্টেট খাতকে ঘিরে গড়ে ওঠা লিংকেজ শিল্প ঘূর্ণায়মান রেখেছে আমাদের অর্থনীতি।
প্রতি বছর বিভিন্ন খাত-উপখাত মিলে এই রিয়েল এস্টেট সেক্টর থেকে সরকারের কোষাগারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জমা হয় প্রায় এক লাখ কোটি টাকার রাজস্ব। এজন্য এই খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। দেশবাসী যাতে ভাড়ার টাকায় মাথা গোঁজার একটা ঠিকানা খুঁজে পায় সেজন্য স্বল্প সুদের দীর্ঘমেয়াদী একটি তহবিল গঠন আমাদের প্রাণের দাবি। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই খাতে নিবন্ধন ব্যয় আরো কমানোর সুযোগ রয়েছে। রিহ্যাবের অন্যান্য দাবিগুলো আগামীতে সরকার বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করে রিহ্যাব।
সময় জার্নাল/এমআই