আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাইডেন প্রশাসন দৃশ্যত গাজার রাফায় হামলা চালানোর জন্য ইসরাইলকে সবুজসঙ্কেত দিয়েছে। মার্কিন অনুমোদন পেয়েই ইসরাইল দৃশ্যত মিসরের সাথে থাকা রাফা সীমান্ত ক্রুসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।
সোমবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করার পর ইসরাইল ওই হামলা শুরু করে। ইসরাইল বলছে, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তাদের মূল দাবিগুলো এতে মানা হয়নি। আর হামাস বলেছে, তারা অনেক ছাড় দিয়েছে। ইসরাইল যদি হামলা অব্যাহত রাখে, তবে তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনা থেকে সরে যাবে।
বাইডেন প্রশাসনের মুখপাত্ররা বলেছেন, ইসরাইলের রাফা অভিযান বৈধ। তবে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে হামলার ব্যাপ্তি যদি বেড়ে যায় এবং তা যদি গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর কাজে বাধার সৃষ্টি করে, তবে এই মূল্যায়ন বদলে যাবে।
হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, 'ইসরাইলি কর্মকর্তারা আমাদের যা বলেছেন তা হলো, গত রাতের এই অভিযান ছিল সীমিত। এর লক্ষ্য ছিল হামাসের অস্ত্র চোরাচালান এবং তহবিল সংগ্রহের সক্ষমতা ছিন্ন করা।'
পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, 'এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, এটি একটি সীমিত অভিযান। তবে এরপর কী হবে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।'
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে আমরা বড় ধরনের সামরিক অভিযান দেখতে চাই না। এটিকে বড় সামরিক অভিযানের সূচনা বলা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ইসরাইলের একটি কথা খুবই সত্য। তা হলো হামাস এখনো রাফার গাজার দিকটির নিয়ন্ত্রণ করছে। এর মাধ্যমে হামাস রাজস্ব সংগ্রহ করছে। হামাস যাতে অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে, সেজন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
ইসরাইল মঙ্গলবার সকালে রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। এর ফলে সেখান থেকে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অথচ এটিই হলো গাজায় ত্রাণ সরবরাহের প্রধান পথ।
সময় জার্নাল/এলআর