নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বর্তমানে ৩০ বছর। বয়সের এ সীমা বাড়িয়ে সরকারি চাকরি শুরু করার বয়স-সীমা বাড়ানোর দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে চাকরিপ্রার্থীরা। সম্প্রতি বয়সসীমা বাড়াতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর চিঠির পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো কতটা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। তবে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে অর্থনীতিবিদ ও ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনোমিকস রিসার্চ (এনবিইআর) চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ। তিনি মনে করেন, বয়সের কারণে তরুণদের চাকরি বঞ্চিত করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, কেউ কেউ এই সীমা না বাড়ানোর পক্ষে। আবার কেউ কেউ শুধু বাড়ানোই নয়, তারা এই সীমা তুলে দেওয়ারই কথা বলছেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক সঞ্জয় দাস বিবিসি বাংলাকে বলেন, "বিশ্বের ১০৭টি দেশে চাকরির বয়সের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখেছি। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপসহ এসব দেশে চাকরির বয়স হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫৯ পর্যন্ত। ভারতেরও বিভিন্ন রাজ্যে চাকরির বয়সসীমা ৪৫।" তাদের কথা হলো যোগ্যতা প্রমাণ করতে বয়স কোন বাঁধা হতে পারে না।
অধ্যাপক পারভেজ বলেন, তাই আসলে চাকরির জন্যে কোন বয়স-সীমাই রাখা উচিত নয়। বয়সের জন্যে কোন সীমা বেঁধে দেওয়া না হলে তো সরকারি চাকরিতে স্বল্প কিছু পদের জন্যে হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন এবং সেজন্যে সরকার একটা নীতিমালা তৈরি করতে পারে। একেক শ্রেণির চাকরির জন্যে একেকটা বয়স-সীমা বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। যেমন প্রথম শ্রেণির জন্যে ৩৫, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্যে ৪০, তৃতীয় শ্রেণির জন্যে ৪৫ এরকম।
এমআই