স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করার পর রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ৮৭তম মিনিট পর্যন্ত ১ গোলে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এরপর ৩ মিনিটের ব্যবধানে সেটা শোধ করে লিডও নেয় স্বাগতিকরা। এরপর যোগ করা সময়ের ১৩তম মিনিটে বায়ার্ন সেটা শোধ করলেও অফসাইড হওয়ায় সেটা বাতিল করেন রেফারি। এটা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। ম্যাচ শেষে বায়ার্ন কোচ টমাস টুখেল, ফুটবলার টমাস মুলার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর ডি লিট বলেন তার কাছে ভুল স্বীকার করেছেন লাইন্সম্যান।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লীগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে বায়ার্নকে ২-১ গোলে হারায় রিয়াল। এই হারে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে ওঠে কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে বাতিল হওয়া ওই গোলের সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এদিন যোগ করা সময়ের ১৩তম মিনিটে ডি লিটের গোলের আগে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইনসম্যান। ডি লিট গোল করার আগেই লাইনসম্যান অফসাইড ধরায় এবং রেফারি বাঁশি বাজানোয় রিয়ালের খেলোয়াড়েরা খেলা থামিয়ে দেন।
বাঁশি বাজানোর কারণে সেটি অফসাইড হয়েছিল কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার এখতিয়ার ছিল না ভিএআরের। তবেরিপ্লেতে দেখে মনে হয়েছে, অফসাইডের সিদ্ধান্তটি খুব ‘ক্লোজ’ ছিল। ম্যাচ শেষে ডি লিট বলেন, ‘লাইনসম্যান আমাকে বলেছেন “দুঃখিত, ভুল করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী, অফসাইড নিশ্চিত না হলে...খেলা চালিয়ে যেতে হবে। আর শেষ মিনিটে এভাবে বাঁশি বাজানো, আমার মনে হয় এটা বড় ভুল। অফসাইড হয়েছে কি না, আমি জানি না, সেটা ভিএআর পরীক্ষা করতে পারে। কিন্তু এটা (অফসাইড) পরীক্ষা করে না দেখলে বুঝলেন কীভাবে? এটা লজ্জার।’
তবে এখন আর দু:খ প্রকাশ করে কোনো লাভ নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বায়ার্ন বস টুখেল। তিনি বলেন, দুঃখ প্রকাশ করে এখন কোনো লাভ নেই। সবার সর্বোচ্চটা দিতে হয়েছে, ভুগতে হয়েছে, কোনো ভুল ছাড়াই খেলতে হয়েছে সবাইকে। সুতরাং রেফারিকেও সেই মানের হতে হবে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অজুহাত দিয়ে কোনো লাভ নেই। আপনি সেরা বলেই মাঠে। শেষ পর্যন্ত মাঠে আপনার কাছে সেরাটা প্রত্যাশা করা আমাদের অধিকার।’
এর আগে ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টিএনটি স্পোর্টসকে বায়ার্ন কোচ টুখেল বলেছেন, ‘সর্বনাশা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাইনসম্যান ও রেফারি। এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি বলে মনে হচ্ছে। দারুণ লড়াই হয়েছে, আমরা মাঠে সবটুকু দিয়েছি। (ফাইনালের) খুব কাছে পৌঁছেও গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন রিয়াল মাদ্রিদকে শুভকামনা জানাতে হচ্ছে।’
অন্যদিকে বায়ার্নের মিডফিল্ডার মুলারের মতে রিয়ালের মাঠে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তিনি বলেন, ‘রেফারি ভিএআর এর সাহায্য নেয়নি। তিনি এটা দেখার সুযোগও পাননি। এমন পরিস্থিতি খুব অদ্ভুত, এত দ্রুত বাঁশি বাজালেন! অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত। সাধারণত বাঁশি বাজানোর আগে তিন মিটার দৌড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। জানি না আসলে কী ঘটেছে। দুঃখজনকভাবে মাদ্রিদে এটা প্রায়ই হয়। ২০১৭ সালেও আমাদের সঙ্গে এটা ঘটেছে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দুই গোল করেছিল...তবে সেটা ভিএআরের আগে।’
এমআই