আবদুল্লাহ কাদের মালদ্বীপ থেকে:
০৯ মে ২০২৪ মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার কর্তৃক রাজধানী মালের পাঁচ তারকা জেন হোটেলে বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে স্থানীয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ এবং কূটনৈতিক কোরের সদস্যদের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে মালদ্বীপের মাননীয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এন্ড টেকনোলোজি মন্ত্রী আলী ইহসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী, মালদ্বীপ প্রবাসী ডাক্তার, ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দসহ প্রায় শতাধিক অতিথী উপস্থিত ছিলেন।
মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশের মান্যবর হাইকমিশনার রিয়াল এডমিরাল আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রাম, দুরদর্শী নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে তথা যুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠনে ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্বরণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি জাতীয় নেতা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন দানকারী দেশ ও জনগনের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশকে “উন্নয়ন বিস্ময়” উল্লেখ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত করার সরকারের ভিশন তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার রিয়াল এডমিরাল আবুল কালাম আজাদ মালদ্বীপের বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে উন্নয়ন, কূটনীতি, ক্রীড়া, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে দেশের অনুকরণীয় সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অব্যাহত সহযোগীতার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ও মালদ্বীপ সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রধান অতিথি মাননীয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এন্ড টেকনোলোজি মন্ত্রী আলী ইহসান দুই দেশের সুসম্পর্ক, বন্ধুত্ব ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যকার বিরাজমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সহযোগিতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি মালদ্বীপের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানের কথা স্মরন করেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সহযোগীতা এবং প্রবাসী বাংলাদেশী দক্ষ, অদক্ষ শ্রমিক ও বাংলাদেশী চিকিৎসকদের এ দেশ গড়ায় বিশেষ অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস, মহান স্বাধীনতা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, দর্শনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শিল্প ও সংস্কৃতি উপস্থাপন করা হয়।
সবশেষে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর
