সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
৮ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ। ১৯৯ সদস্যবিশিস্ট কমিটির ঘোষণার মাধ্যমে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ১০ মাস পর পূর্ণতা পেল ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও নাসিম আহমেদ জয় নেতৃত্বাধীন এই কমিটি।
শুক্রবার (১০ মে) রাত ১০টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।
পূর্ণাঙ্গ এই কমিটিতে সহ-সভাপতি ৭১জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১১জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন ১১জন। এছাড়া বিভিন্ন সম্পাদক ও উপসম্পাদক পদে ৩৮জন, সহ-সম্পাদক ১৫জন এবং সদস্য হিসেবে ৭জনকে মনোনীত করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কমিটি ঘোষণার পর রাত ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন তারা। মিছিলটি সংগঠনটির দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়।
সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, দীর্ঘদিন পর ইবি ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে কৃতজ্ঞ। কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার মধ্য দিয়ে ইবি ছাত্রলীগ আরও শক্তিশালী হয়েছে। এর মাধ্যমে নিবেদিত প্রান কর্মীরা পরিচয় পেলেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৬ সালে সাইফুল ইসলাম সভাপতি এবং অমিত কুমার দাস সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন ১২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছিলো ইবি ছাত্রলীগ। এরপর ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল শাহিনুর রহমান শাহিনকে সভাপতি ও জুয়েল রানা হালিমকে সাধারণ সম্পাদক করে মাত্র দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
তবে এ কমিটি আর পূর্ণাঙ্গ হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই রবিউল ইসলাম পলাশ ও রাকিবুল ইসলাম রাকিবের নেতৃত্বে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গঠনের তিন মাসের মাথায় সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে অর্থ লেনদেনের অডিও ক্লিপ ফাঁস হলে শাখা ছাত্রলীগের একাংশ সভাপতি-সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
ফলে ওই কমিটি আর ক্যাম্পাসে কোনো কার্যক্রম চালাতে পারেনি। কোনো ধরনের কার্যক্রম ছাড়াই কমিটি তার মেয়াদকাল শেষ করে এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় এক বছর চার মাস ২৩ দিন পর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সংগঠন উক্ত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার সাত মাস পর সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতকে সভাপতি এবং নাসিম আহমেদ জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে জয়-লেখক নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সময় জার্নাল/এলআর