দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে পৃথক দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজ শিক্ষকসহ চার জন নিহত হয়েছে।
শনিবার রাতে দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ সদরের হরিদাসপুর পূর্বপাড়া ব্রীজের কাছে ও সন্ধ্যায় চাপাইল মধুমতি পার্কের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সমাজ কল্যাণ বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি পিনাকী রঞ্জন দাস (৫৭) এবং এম এইচ খান ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক বাবুল সরকার (৪৮) কাশিয়ানী উপজেলার পুইশুর গ্রামের আব্দুল আলী মোল্লার ছেলে ও ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার জুয়েল মোল্লা (৪২) ও ফরিদপুর সদরের শোলাকুন্ডু গ্রামের বাবু শেখের ছেলে ৫ম শ্রেণির ছাত্র রামিম শেখ (১০)।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান ও ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের উপ পরিদর্শক আল মাহমুদ দূর্ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, আগামী ২১ মে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুৃষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনের প্রচারণা শেষে পিনাকী দাস, বাবুল সরকার ও জুয়েল মোল্লা এক মোটরসাইকেলে করে কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জের বাসায় ফিরছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌছালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সেতু ডিলাক্সের একটি পরিবহন বাসের সাথে মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী ওই তিন জন গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল মোল্লার মৃত্যু হয়। দূর্ঘটনায় আহত পিনাকী রঞ্জন দাস ও বাবুল সরকারের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।এরপর ঢাকায় নেওয়ার পথে এদুজনই মারা যান।
অপরদিকে,ওইদিন সন্ধ্যায় ভাগ্নে রামিম শেখকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘূরতে বের হয় তার মামা।এসময় ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে রামিম শেখ পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনালের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে ঘোষেরচর দক্ষিণপাড়ায় তার মামা বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত।
সময় জার্নাল/এলআর