ইবি প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রকৌশলী, অফিস সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ বিভিন্ন পদের নিয়োগ। রোববার (১৯ মে) বিকালে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৩তম সিন্ডিকেট সভায় টেবিল এজেন্ডা হিসেবে এসব পদের নিয়োগ ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নতি চূড়ান্তকরণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত আলোচ্যসূচিতে না থাকায় সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরোধিতার মুখে এই দুই বিষয়ে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই সিন্ডিকেট সভা শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিন্ডিকেট সভা সূত্রে জানা যায়, পূর্বে সিন্ডিকেট সদস্যদের দেওয়া চিঠিতে নিয়োগ ও প্রমোশন বোর্ডের বিষয়টি এজেন্ডায় উল্লেখ ছিলো না। তাই সভায় টেবিল এজেন্ডা হিসেবে বিষয়গুলো উত্থাপন করা হলেও আলোচ্যসূচির বাইরে হওয়ায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যরা এর বিরোধিতা করেন। ফলে আলোচ্যসূচির বাইরে সভায় আর কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।
অন্যদিকে সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেগাপ্রকল্পে সোয়া ছয় কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন খোলা হয় বলে জানা যায়। প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের শাস্তির সুপারিশে নির্ধারিত ধারা উল্লেখ না থাকায় সে বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শাস্তির ধরণ অনুযায়ী ধারা উল্লেখ করতে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকা পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেনকে এক মাসের মধ্যে যোগদান করতে বলা হয়েছে। না করলে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নয়ন বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সর্বশেষ বিভিন্ন পদে ১৩ জনের (প্রকৌশলী, অফিস সহকারী, মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী) নিয়োগের সুপারিশ করে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড। এসব বিষয় সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিলো।
এদিকে সম্প্রতি ইউজিসি তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। এর পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়। নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের মাঝেই ফের সিন্ডিকেটে নিয়োগ চূড়ান্তরণের বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সচেতন শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপাচার্যের নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানান। সর্বশেষ গতকাল দুপুরে এ দাবিতে প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম একটি বিবৃতি প্রদান করে।
আরইউ