স্পোর্টস ডেস্ক:
এত এত রান, এত এত ছক্কা-চার। রানবন্যার ২০২৪ আইপিএলেও রেকর্ডটা অক্ষত ছিলে একেবারে ৬৮তম ম্যাচ পর্যন্ত। ভারতীয়দের মধ্যে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড বিরাট কোহলির দখলে ছিল দীর্ঘদিন ধরে। নিজেদের শেষ ম্যাচে এসে এরপর কোহলির ৩৮ ছক্কার রেকর্ডকে ছাড়িয়েই গেছেন অভিষেক শর্মা। একই সাথে প্রথম ভারতীয় হিসেবে এক মৌসুমে ৪০টি ছক্কা মারার রেকর্ডও গড়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই বাঁহাতি ব্যাটার।
তবে দ্বিতীয় ব্যক্তি হওয়ার ভালোই সুযোগ আছে কোহলির সামনে। চলতি আসরে এ পর্যন্ত ভারতের এই কিংবদন্তি মেরেছেন ৩৭টি ছক্কা। এলিমিনেটরে যাওয়ায় কোহলির ৪০ ছক্কা স্পর্শের সম্ভাবনা আছে ভালোই। ২০১৬ সালে ৩৮টি ছক্কা মেরে যে রেকর্ড গড়েছিলেন কোহলি, সেটি ভেঙে দেওয়ার কাছে গিয়েও পারেননি রিশভ পান্ত। ২০১৮ সালের আইপিএলে ৩৭ ছক্কাতেই আটকে গিয়েছিলেন পান্ত। আর কোন ভারতীয় ব্যাটার এই মৌসুমের আগে ৩৫টির বেশি ছক্কা মারতে পারেননি।
গেল বছর অবশ্য শিভাম দুবে হাঁকিয়েছিলেন ৩৫ ছক্কা। সেবার শুবমান গিলও গিয়েছিলেন ৩৩ ছক্কা পর্যন্ত। তার আগে ২০১৮ সালে আম্বতি রাইডু ও লোকেশ রাহুল যথাক্রমে ৩৪ ও ৩২ ছক্কা মারতে পেরেছিলেন। রিয়ান পরাগ ও রজত পাতিদারের জন্য যদিও তাদেরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ভালোই সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে। প্লেঅফে জায়গা পাওয়া দলের এই দুই খেলোয়াড় আছেন ৩১ ছক্কায়।
আরেক তরুণ অভিষেক শর্মা ভারতীয়দের মধ্যে রেকর্ডের মালিক হয়েছেন ঠিক। তবে সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ভেঙে দেওয়া সহজ হবে না মোটেও। ক্রিস গেইল নামের এক দানব যে চূড়ায় বসে আছেন ৫৯ ছক্কা মেরে। ২০১২ সালে গড়া সে রেকর্ডের কাছাকাছি যদি কেউ বারবার যেতে পারেন, সেটিও তিনিই। পরের বছরই মেরেছিলেন ৫১ ছক্কা। আর একজন মাত্র ব্যাটার আছেন যিনি কোনও এক মৌসুমে পঞ্চাশ ছয়ের ঘরে ঢুকতে পেরেছিলেন। সেই ব্যাটারও যে আরেকজন ক্যারিবিয়ান, এটা অনুমানে কোনও পুরস্কার নেই। ২০১৯ আইপিএলে আন্দ্রে রাসেল থামেননি ৫২ ছক্কার আগে।
চতুর্থ স্থানে গিয়ে পাওয়া যায় ক্যারিবিয়ানের বাইরের কারো খোঁজ। ২০২২ আইপিএলে জস বাটলার ৮৬৩ রান করার পথে ৪৫ বার ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ রান আদায় করেছিলেন। ২০১১ সালে মারা গেইলের ৪৪ ছক্কা আছে পঞ্চম স্থানে। এরপর গিয়ে কোনও ভারতীয় আসেন তালিকায়। ১৩ ম্যাচে ৪১টি ছয় হাঁকানো অভিষেক 'প্রথম গেইল'কে না ছাড়িয়ে যেতে পারলেও। ছক্কার রেকর্ডে এতটাই দাপট গেইলের, 'পঞ্চম গেইল'কেও অভিষেকের টপকে যাওয়া ছোটখাটো অর্জন হবে না নিঃসন্দেহে।
এমআই