সাইদ আহম্মদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়:
”তোরা কেন যাস আমি জানি না? মেয়েদের ফিগার দেখতে যাস? পাতলা কাপড়ের নিচে ব্রা এর স্ট্রিপ দেখতে যাস?" শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট (এবিএম) অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষ। এমন অশালীন মন্তব্য করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে দিয়েছেন দেখে নেওয়ার হুমকি। এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, অনুষদভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম ও ট্যুরের বিষয়ে আলাপচারিতার জন্য ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শ্রেণিকক্ষে যান ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনা জের ধরে অনুষদের ডিন ড. অশোক কুমার ঘোষ গত ১৩ মে ২১-২২ সেশনের শ্রেণীকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
পরবর্তীতে ১৫মে ডিনের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে ও ব্যাখ্যা চাইতে সকল শিক্ষার্থীরা তার কাছে গেলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করেন এবং এসব কথার কোন রেকর্ড আছে কিনা জানতে চান সাথে "তোরা কিভাবে পাস করিস দেখে নিব বলে হুমকি দেন।"
সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় অনুষদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে৷ কিন্তু উক্ত শিক্ষক ও ফ্যাকাল্টিতে তার অনুগত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যার তৈরি করতে পারে আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা আর প্রশাসনিক ব্যবস্থার দারস্থ হয়নি৷ তবে এ নিয়ে এখনো সমালোচনা চলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে৷
এমতাবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের আরো কিছু সেমিস্টার বাকি আছে। স্নাতক পাস করে বের হতে হবে। তাই এ বিষয়ে আমরা কোন মন্তব্য দিতে রাজি না।
এছাড়াও নাম গোপন রাখার শর্তে স্নাতকোত্তরের কিছু শিক্ষার্থী বলেন, ড.অশোক ক্লাসে এসেও মেয়েদের বিষয়ে অশালীন কথা বলে। বোর্ডে শুধু টপিক লেখেন তারপর এমন কিছু গল্প বা আলোচনা করেন যা শিক্ষকের কাছে কোন শিক্ষার্থী এমনটা আশা করেনা।
এ বিষয়ে অনুষদভিত্তিক ছাত্রসংগঠন কৃষি অর্থনীতি ছাত্র সমিতির সভাপতি আরিফুল আরিফের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. অশোক কুমার ঘোষ বলেন, মেয়েদের পোশাক নিয়ে যে অভিযোগ, এমন কোনো কথা আমি বলিনি। কেন তারা বানিয়ে বলেছে জানিনা। আর ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি বিষয়ে যে অভিযোগ এসেছে সেক্ষেত্রে আমি ওদের কোনো কোর্স নেই না, কিভাবে আমি ফেল করাবো।
এমআই