নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলার মাটি—মানুষের প্রতি কবি আসাদ চৌধুরীর মমত্ববোধ ছিল প্রখর। কবিতায় তিনি যখন খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করেছেন, তখন জাত্যাভিমান ভুলে আসাদ চৌধুরী ছুটে গেছেন বাংলার প্রান্তিকে। গণমানুষের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্তিকে আরও বেশি নিবিড় করে তুলতে মরিয়া হয়ে বাংলার আলপথ ধরে ছুটে গেছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। মানুষের প্রতি সমাজের প্রতি সম্পৃক্তি, সৌহার্দ্য আসাদ চৌধুরীর কবিতার প্রধানতম বৈশিষ্ট্য। তার কবিতায় বারবার উঠে এসেছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। বাংলা সাহিত্যে কবি আসাদ চৌধুরী একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার চিন্তা—চেতনা ও আদর্শ জাতীয় জীবনে অনিবার্য। তিনি উনিশ শতকের রাষ্ট্রচিন্তা ও পরবর্তী সময়ে সমসাময়িক চিন্তা—চেতনায় দেশের কল্যাণ ও স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। গতকাল (২৪ মে ২০২৪) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে কাঠপেন্সিল সাহিত্য সংসদ আয়োজিত কবি আসাদ চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে কবি আসাদ চৌধুরীকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। আসাদ চৌধুরীর মতো একজন কবি স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত না হওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
প্রখ্যাত লেখক, সমাজবিশ্লেষক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক—এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, কবি আসাদ মান্নান, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়–য়া, কবির সহধর্মিনী সাহানা চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক আতা সরকার, অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এবং কবি ও সম্পাদক ইমরান মাহফুজ।
কবি আবিদ আজম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সীমান্ত আকরাম। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী নাসিম আহমেদ, শায়লা আহমেদ, তারিক হাসিব, আলমগীর ইসলাম শান্ত ও তালহা বিন শরীফ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন ঐশিকা নদী। দেশ ও দেশের বাহিরের প্রথিতযশা লেখকদের লেখা সংবলিত সমৃদ্ধ কলেবরে প্রকাশিত আসাদ চৌধুরী স্মারকগ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন কাঠপেন্সিল সম্পাদক সীমান্ত আকরাম।
এমআই