মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে দিনাজপুর সদর উপজেলা, খানসামা ও চিনিরবন্দর উপজেলায় বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিনাজপুরের এই তিন উপজেলায় ৩টি পদে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ১০ জন।
তিন উপজেলায় ২৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায মোট ভোটার ৮ লাখ ৪ হাজার ১০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ লাখ ২ হাজার ৮৬২ জন মহিলা ভোটার ৪ লাখ ১ হাজার ২৪২ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৪ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ২৯৯টি ও মোট ভোট কক্ষ ২ হাজার ১৪৩টি।
বুধবার (২৯ মে-২০২৪) সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের তাজপুর নালাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মঞ্জুরুল ইসলামের সাথে দেখা হলে তিনি জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম। তবে আশা করছি বেলা ১২টার পর ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আহাসান কার জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও দুপুরের পর ভোটার উপস্থিতি বেড়ে যাবে। তাছাড়া আমরা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি। আশা করছে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন, জেলায় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও ত্রুটিমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য নিছিন্দ্র নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার ৩টি উপজেলা দিনাজপুর সদর, খানসামা ও চিরিরবন্দরে মোট ভোট কেন্দ্র ২৯৯টি। এর মধ্যে ১৭৭টি কেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২২টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সে ভাবেই রয়েছে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রধারী পুলিশ ও আনসার এবং লাঠিধারী পুরুষ-মহিলা আনসার সদস্যসহ সাধারণ কেন্দ্রে ১৮ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন চৌকিদার বা দফাদার দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতার জন্য আনসার সদস্যদের টহল ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ৩ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা টহলে নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিটি উপজেলায় পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এমআই