মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরের চাল উড়ে গেছে। গাছ উপড়ে পড়ে ও গাছের ডালপালা ভেঙে গেছে। গাছ পড়ে ও ডালপালা ভেঙে বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়ায় ও খুটি ভেঙে পড়ায় রাত থেকে দিনাজপুরে বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে দিনাজপুরে আকস্মিক কালবৈশাখীর ঝড় আঘাত হানে। রাত ১ঃ৪৬ মিনিটে ঝড় শুরু হয়ে রাত ১ঃ৫১ মিনিটে ঝড় শেষ হয়। প্রায় ৫ মিনিটের ঝড়ে জেলা শহরসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ী ভেঙে পড়েছে। ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। বিদ্যুতের তার, ইন্টারনেট ও ডিসলাইনের তার ছিড়ে গেছে। তার ছিড়ে যাওয়ায় রাত থেকে বিদ্যুৎসংযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। ঝড়ে দিনাজপুর জেলায় ঘরবাড়ী, গাছপালা, আম, জাম, লিচুসহ উঠতি ফসল ও শাকসব্জির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিরুপণ করা যায়নি।
ভোররাতে ও সকালে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে উপড়ে পড়া ও ভেঙে পড়া গাছের ডালপালা সড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে ঝড় শেষ হওয়ার পর রাত ৩ টার দিকে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ ও পুলিশ সুপার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন ও ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিনাজপুরে গতরাতে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। ঝড়টি তীব্র গতি নিয়ে প্রায় ৫ মিনিটের মত স্থায়ী ছিল (রাত ১ঃ৪৬ থেকে ১:৫১)। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার। পাশাপাশি প্রায় ৩০ সেকেন্ডের মত শিলাবৃষ্টি (তসবি দানার মতো ছোট ছোট) সংঘটিত হয়। মোট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ মিলিমিটার।
অপরদিকে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে গনমাধ্যমে পাঠানো এক জরুরি বার্তায় জানানো হয়েছে, দিনাজপুর জেলায় আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ, বিদ্যুতে খুটি ও অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুলিশ অফিসসহ পুলিশ লাইন ও পুলিশের অন্যান্য স্থাপনাসমূহে বিদ্যুতের তার, বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ ভেঙে পড়ে বড় ধরনের ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। তাই প্রত্যেক ইউনিটের ইনচার্জগণ সকাল না হওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে এসব ভাঙ্গা গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি বা অন্যান্য জিনিসপত্র সরাতে না যায় সেটি নিশ্চিত করতে ও সকলে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সবাই যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করতে ও বৈদ্যুতিক ঝুঁকি এড়াতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে জরুরি বার্তায়।
এমআই