নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডনের সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।
রোববার দৃক পিকচার লাইব্রেরি লিমিটেডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আলোকচিত্রের মাধ্যমে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে শহিদুল আলমের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালে তাঁকে এই ডিগ্রি দেয়া হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে শহিদুল আলম বলেন, ‘ডিগ্রিটি নেয়ার সময় ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন করেছেন। সেই সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রতি সমর্থন জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি আমাকে আশ্বস্ত করেছিল।’
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন করেছেন। সেই সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রতি সমর্থন জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি আমাকে আশ্বস্ত করেছিল।’
শহিদুল আলম আরও বলেন, ‘কিন্তু এই স্বস্তি কেটে যায় যখন দেখি প্রশাসন, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান উপাচার্যের অবস্থান ভিন্ন। শিক্ষার্থীরা বারবার বলছেন, তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি বা ইসরায়েল অনুষঙ্গী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ইসরায়েলের দখলদারি, বর্ণবাদ ও চলমান গণহত্যার অংশীদার।’
এই পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন শহিদুল আলম। তিনি বলেন, সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট’ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন।
সময় জার্নাল/এলআর