হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
দেশের দ্বিতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো সামার ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অর্ক সাংস্কৃতিক জোট এবং এইচএসটিউ ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো উক্ত ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) বিকেল ৫ টার সময় টিএসসিতে উক্ত সামার ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়।
সামার ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, প্রফেসর ড. মোঃ মাহাবুব হোসেন, হাবিপ্রবি প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মামুনুর রশিদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন আকাশ এবং সাধারণ সম্পাদক এম এম মাসুদ রানা মিঠু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালকবৃন্দ,সহকারী প্রক্টরবৃন্দ,অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ,অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং হাজারো শিক্ষার্থী।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন আকাশ বলেন, আমরা চাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তমনা সংস্কৃতি বিকশিত হোক।আমরা বিভিন্ন সংগঠনের সাথে বসে তাদের সুবিধা অসুবিধার বিষয়গুলো মাননীয় উপাচার্য স্যারের নিকট তুলে ধরবো।আমরা হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ ঈদুল আযহা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কনসার্ট আয়োজনের বিষয়টিও মাথায় রেখেছি।
সাধারণ সম্পাদক এম এম মাসুদ রানা মিঠু তার বক্তৃতায় বলেন, হাবিপ্রবি পূর্বে যেমন সংস্কৃতি মুখী ছিল এই ধারাটি এখন থেকে আরো বেগবান হবে।আমরা সবসময়ের জন্য চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলো তাদের সংস্কৃতি এবং সৃজনশীল কর্মকান্ড সবার মাঝে তুলে ধরুক।আমরা হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সবসময়ের জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চাই। যেকোনো শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মকান্ডে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সবার আগে থাকবে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকান্ত কুমার মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল ইসলাম ইমন।আরো বক্তব্য রাখেন এইচএসটিউ ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি হাসিবুল হক সৌরভ এবং এইচএসটিউ ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান উৎস।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া সামার ফেস্টিভ্যালটি শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার করেছে। অর্ক সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা বাঙালির চিরাচরিত পোশাক লুঙ্গি, পাঞ্জাবি পরিধান করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন।কেউ কেউ আবার লুঙ্গির সাথে ফতুয়া,গেঞ্জি,শার্ট পরিধান করেছেন। টি এস সি প্রাঙ্গণে খাবারের দোকান, লুঙ্গি গামছা এবং শৌখিন পণ্যের দোকান পরিলক্ষিত হয়।
এমন আয়োজনে শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে উচ্ছসিত হয়েছেন।
সময় জার্নাল/এলআর