সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন বিষয়ক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং তাদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো প্রবর্তনের দাবিতে ২য় দফায় কর্মবিরতি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নিচতলার করিডোরে অবস্থান নেন। পূর্বের ন্যায় কর্মবিরতি চলাকালে শিক্ষকরা শ্রেণিকার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করলেও চলমান পরীক্ষাসমূহ কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখা হয়।
এবিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষকদের সাথে যদি এরকম বৈষম্যমুলক আচরণ করা হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যোগ্য শিক্ষক হারাবে। আমরা যারা সিনিয়র শিক্ষক আছি আমরা অবসরের পর পাবো ১ কোটি ১৫ লক্ষ্য টাকা। বর্তমান শিক্ষকদের এই টাকার পরিমান অনেক কম হবে। এছাড়াও প্রতিটি শিক্ষকের একজন করে নমিনি থাকে। শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে তারা আজীবন টাকা পাবে। বর্তমান নিয়মানুযায়ী নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত টাকা পাবে। এত বৈষম্য থাকলে পরবর্তীতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে না।
এর আগে গত ২৮মে একই দাবিতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছিলো ইবি শিক্ষক সমিতি।
সময় জার্নাল/এলআর