বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
৫ জুন 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শেকৃবি) এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর দেড়টায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে অনুষদের শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
জানা যায়, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দশ দিন শিক্ষাসফরের অংশ হিসেবে ৫ই জুন অবস্থান করেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। এসময় সমুদ্রসৈকত ও এর আশেপাশের স্থানে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ইত্যাদি কুড়িয়ে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন তারা। এতে অংশ নেন প্রায় চল্লিশ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন সৈকত পর্যটন পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের এমন কার্যক্রমকে স্বাগত জানান উপস্থিত পর্যটকরা। তারা বলেন, এরকম একটি সুন্দর ও মনোরম জায়গায় কিছু মানুষ যত্রতত্র ময়লা ফেলে নোংরা করে, যেখানে সেখানে পলিথিন ও পানির বোতল ফেলে। সচেতন মানুষের আচরণ কখনোই এমন হওয়া উচিত নয়। সৈকতপাড়ের ফল বিক্রেতা আমির মিয়া বলেন, এখানে যারা ঘুরতে আসেন তারা সবাই শিক্ষিত না। তাই তাদের অনেকেই বিভিন্ন ময়লা, প্লাস্টিক, পলিথিন এখানে ফেলে যায়। তাদের জন্যই জায়গাটির সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
সুগন্ধা সৈকত পয়েন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এএসআই নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজনকে অবশ্যই আমরা স্বাগতম জানাই। বীচে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাস্টবিন দেয়া আছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও নিয়মিত পরিষ্কার করছেন। কিন্তু অসচেতন কিছু মানুষের জন্য জায়গাটা নোংরা হয়ে থাকে৷ এটা কোনভাবেই আমাদের কাম্য নয়।
শিক্ষার্থীদের দলটির গাইড হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ ও অধ্যাপক ড. শাহ জহির রায়হান। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন ইতিবাচক সকল উদ্যোগই আশা জাগানিয়া। পরিবেশ দিবস উপলক্ষে তারা যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তা সাধারণ মানুষদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করার প্রবণতা কমিয়ে আনতে তরূণদের এ ধরণের উদ্যোগ খুবই দরকারি। সকলেরই এ ধরণের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে এগিয়ে আসা উচিত।
এমআই