সাইদ আহম্মদ, বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা:
সম্প্রতি হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর ২টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সামনে থেকে মিছিল বের করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ করেন। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক", "যুদ্ধ হবে আরেকবার, করবো কোটা সংস্কার", "কোটা বৈষম্য দূর কর, নইলে বুকে গুলি কর", "আমার দেশ আমার মা, বৈষম্য মানি না" ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ রায়কে প্রহসনের এবং বৈষম্যমূলক রায় বলে উল্লেখ করে বলেন, মেধাবীদের চেয়ে কম পরিশ্রম করেও তথাকথিত কোটাধারীদের সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা মেধাবীদের হতাশ করে তুলবে। কোটা ব্যবস্থায় যদি যোগ্য স্থানে যোগ্য ব্যক্তি যেতে না পারে, তাহলে মুখে যতই বলা হোক দেশ সামনে এগিয়ে যাবে, আমরা মূলত আরও পিছিয়ে যাবো। দেশের মাত্র ২.৬৩ শতাংশ লোক কোটাধারী, কথচ তাদের জন্য বরাদ্দ ৫৬ শতাংশ। আর বাকি ৯৭.৩৭ শতাংশ মানুষের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৪৪ শতাংশ।
তারা আরো বলেন, দিনে দিনে দেশে ব্রেইন ড্রেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে দেশের সর্বোচ্চ স্থানে যখন বৈষম্যের হার এত পরিমাণ বেশি, মেধাবীরা মেধার মূল্যায়ন পাচ্ছে না, সেখানে যে শিক্ষার্থী যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশের বাইরে থেকে অফার লেটার পাচ্ছে, সে কোন টানে দেশে থাকবে!
দাবি আদায়ের বিষয়ে তারা বলেন, মেরিটোক্রেসি আর কোটা একসাথে থাকতে পারে না। আমরা যদি মনে করি এ রাষ্ট্র মেরিটোক্রেসিতে চলবে, যোগ্যতার মাধ্যমে চলবে, দক্ষ প্রশাসকের মাধ্যমে চলবে, তাহলে সেখানে কোটার কোনো অবস্থান হতে পারে না। আমাদের এ আন্দোলনে কোনো ব্যক্তিস্বার্থ নাই, কোনো রাজনৈতিক মোটিভ নাই। এটা সাধারণের আন্দোলন, দেশের আন্দোলন।
কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এমআই