সেলিম আহমদ তালুকদার,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও (হাজি বাড়ি) গ্রামে এক মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকেলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও (হাজি বাড়ি) গ্রামের শয়ফুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা বেগম (১৬) প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাওয়ার শেষে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায়। রাতের কোনো একসময় মেয়েটির আপনচাচা রবিউল ইসলাম (৪০) সানজিদার ঘরে প্রবেশ করে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। বুধবার ভোরে মেয়েটির নিতরদেহ নিজঘরের বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন।
পরিবারের লোকজন জানান, শয়ফুল ইসলামের চার ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। ওই প্রবাসি নিঃসন্তান হওয়ায় মেয়েটিকে তিনি নিজের মেয়ের মতো মায়া করে সংসারের ভরন পোষণের টাকা মেয়েটির কাছে পাঠাতেন এনিয়ে ঘাতক ভাইয়ের সাথে কিছু বিরোধ চলছিল। কিছু দিন আগে এসব নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঘাতক চাচা তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়ি চলে যান। মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে এ ঘটনা ঘটান মেয়েটির আপন চাচা রবিউল ইসলাম।
নিহতের বড় ভাই হাম্মাদ আহমদ বলেন, আমাদের ধারনা চাচাই আমার বোনকে হত্যা করে পালিয়েছেন। তার বোন স্থানীয় একটি মাদসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল বলে তিনি জানান।
নিহতের মাদরাসা ছাত্রীর মা সৈয়দা ছালেহা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ঘাতক আমার মেয়েকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শকারী জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোছলেহ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে শ্বাসরূদ্ধ করে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছি।
সময় জার্নাল/এমআই