সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শহীদ নাজমুল আহসান হলের সিনিয়র-জুনিয়র সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন শিক্ষার্থীকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়। ওই চার শিক্ষার্থীকে গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) মুচলেকা দিয়ে নিজ নিজ অবিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. আরিফ সাকিল। ঘটনার বিষয়ে তদন্তের জন্য চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই হলের প্রাধ্যক্ষ অধাপক ড. মো. শহিদুল আলম।
সহকারী প্রক্টর ড. মো. আরিফ সাকিল বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনার পরে ওই চার শিক্ষার্থীকে কোতয়ালী মডেল থানায় পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। পরের দিন ওই শিক্ষার্থীদেরকে তাঁদের অবিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ভবিষ্যতে এধরনের নিয়ম-শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজে নিজেদের জড়াবেন না- এমন মুচলেকা দিয়ে তাঁদেরকে ছাড়া হয়।’
শহীদ নাজমুল আহসান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল আলম বলেন, ঘটনার তদন্তের জন্য চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের সময় দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ১ম কার্যদিবস সম্পন্ন হয়েছে। তাঁদের তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা যায়, চার সদস্যের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক শহীদ নাজমুল আহসান হলের হাউস টিউটর (জেনারেল) মো. ইকরামুল হক এবং সদস্য সচিব কৃষি ও ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের লেকচারার মো. বায়েজিদ হোসেন। সদস্য হিসেবে আছেন সহকারী প্রক্টর ড. মো. নুরুজ্জামান এবং ওই হলের হাউস টিউটর মো. ইফতেখার জাহান ভূঞা।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও শহীদ নাজমুল আহসান হলের হাউস টিউটর (জেনারেল) মো. ইকরামুল হক বলেন, তদন্ত কমিটিকে প্রাথমিকভাবে তিন কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। ১ম দিনেই আমরা বেশ কয়েকটি মিটিং করেছি। তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। একারণে আমরা বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট চিঠি পাঠিয়েঠি। আগামী দিনগুলোতে আরও আলোচনা করা হবে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে যদি অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা সময় বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করব।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাকৃবির শহীদ নাজমুল আহসান হলের সিনিয়র-জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নাজমুল আহসান হলের ভিতরেই ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন আহত হন এবং হলের নিয়ম-শৃঙখলা ভঙ্গ করে সংঘর্ষের লিপ্ত হওয়ার কারণে ৪ জনকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়।
এমআই